Nitish Kumar: ‘ক্ষমতায় আসলে বিশেষ মর্যাদা…’, প্রধানমন্ত্রিত্বের লাইনে ইট পাতলেন নীতীশও

২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এখনও বেশ কিছুটা দূরে। তবে এখনই প্রতিশ্রুতি দিতে শুরু করে দিলেন নীতীশ কুমার। কী বললেন তিনি?

Nitish Kumar: 'ক্ষমতায় আসলে বিশেষ মর্যাদা…', প্রধানমন্ত্রিত্বের লাইনে ইট পাতলেন নীতীশও
নীতীশ কুমার (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 15, 2022 | 3:54 PM

পটনা: ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে অ-বিজেপি দলগুলির জোট জয়ী হলে, দেশের সমস্ত পিছিয়ে পড়া রাজ্যগুলিকে ‘বিশেষ মর্যাদা’ দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর), বড় সড় প্রতিশ্রুতি দিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সম্প্রতি দিল্লি সফরে গিয়েছিলেন বিরোধী শিবিরের নবতম মুখ নীতীশ। পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনে, বিজেপির মোকাবিলা করার জন্য বিরোধী দলগুলিকে একত্রিত করার লক্ষ্যে, বাম, কংগ্রেস, আপ-সহ আরও বেশ কয়েকটি বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন নীতীশ। তারপরই এদিনের এই বড় ঘোষণা এল।

গত মাসেই বিজেপির সঙ্গে জোট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন নীতীশ কুমার। রাষ্ট্রীয় জনতা দল, কংগ্রেস, বাম দল এবং অন্য়ান্য বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে বিহারে একটি নতুন জোট সরকার গঠন করেছিলেন। ২০০৭ সাল থেকেই বিহার রাজ্যের উন্নয়নের জন্য রাজ্যকে ‘বিশেষ মর্যাদা’ দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন তিনি। কেন্দ্রে বিজেপি সরকার থাকাকালীন, দীর্ঘ সময় তাদের সঙ্গে জোটে থাকলেও, সেই দাবি পূরণ করতে পারেননি তিনি। গত মাসের শেষেই তেলেঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর-এর সামনেই, এই বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন নীতীশ। দাবি করেছিলেন, ‘বিশেষ মর্যাদা’ দেওয়া হলে বিহারে আরও দ্রুত উন্নয়নের কাজ হত। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, তিনি কেন্দ্রের কাছে এই বিষয়ে এক টানা আবেদন জানিয়েছেন, কিন্তু কেন্দ্র শোনেনি।

কোনও রাজ্যকে ‘বিশেষ মর্যাদা’ দেওয়া মানে, কেন্দ্রীয়-রাজ্য যৌথ প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে কেন্দ্র-রাজ্য তহবিল অনুপাত হয় ৯০:১০। অর্থাৎ, ৯০ শতাংশ ব্যয়ভার বহন করে কেন্দ্র। সংবিধানে রাজ্যগুলিকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার কোনও বিধান নেই। তবে, জাতীয় উন্নয়ন পরিষদের সুপারিশের ভিত্তিতে ১১টি রাজ্যে এই সুবিধা পায়। এই ১১টি রাজ্য হল – অরুণাচল প্রদেশ, অসম, হিমাচল প্রদেশ, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর।

২০২৪ লোকসভা নির্বাচন এখনও বছর দুয়েক দূরে থাকলেও, বিরোধী শিবিরে এখন থেকেই জোটের বিষয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে। কংগ্রেস যখন ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার মাধ্যমে দল গোছানোর চেষ্টা করছে, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অরবিন্দ কেজরীবাল, কেসিআর-এর মতো বিরোধীদের শিবিরের অনেক নেতাই বিজেপি বিরোধী অ-কংগ্রেসী জোট গঠনের প্রয়াস চালাচ্ছেন। তবে, এঁদের সকলেরই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বাসনা থাকায়, শেষ পর্যন্ত জোট হওয়া কঠিন হবে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। নীতীশ কুমার ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে তিনি নেই। তবে, এই ধরণের প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে লাইনে তিনিও ইট পেতে রাখছেন বলে মনে করা হচ্ছে।