Prashant Kishor: তৃণমূলের এবার ‘মিশন কর্নাটক’? পিকের কাঁধে গুরু দায়িত্ব…

Karnataka : সূত্রের খবর, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা এবং তাঁর ছেলে তথা কর্নাটক বিজেপির সহসভাপতি বি ওয়াই বিজয়েন্দ্রের সঙ্গেও কথাবার্তা বলছেন প্রশান্ত কিশোর।

Prashant Kishor: তৃণমূলের এবার 'মিশন কর্নাটক'? পিকের কাঁধে গুরু দায়িত্ব...
পিকের উপরে কী দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা? (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 27, 2021 | 5:48 PM

বেঙ্গালুরু : ত্রিপুরা, গোয়ার পর কি এবার তৃণমূলের (Trinamool Congress) নজর বাসবরাজ বোম্মাইয়ের কর্নাটকে (Karnataka)? সূত্রের খবর, ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকে (Prashant Kishor) নাকি কর্নাটকে জোড়াফুলের ঘাঁটি তৈরি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই কাজ নাকি ইতিমধ্যে শুরুও করে দিয়েছেন পিকে।

জল্পনা গতকাল থেকেই ছড়াতে শুরু করেছিল। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে, কর্নাটকে লিঙ্গায়ত জনগোষ্ঠীর বর্ষীয়ান কংগ্রেস ও বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা করছেন দুঁদে ভোট কুশলী। কর্নাটকে বেশ কয়েক জন নেতার নামও ইতিমধ্যেই চর্চায় উঠে এসেছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি এম বি পাটিল। শুধু তাই নয়। আরও চমকে দেওয়ার মতো নাম রয়েছে। সূত্রের খবর, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা এবং তাঁর ছেলে তথা কর্নাটক বিজেপির সহসভাপতি বি ওয়াই বিজয়েন্দ্রের সঙ্গেও কথাবার্তা বলছেন প্রশান্ত কিশোর।

যদিও প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি এই ধরনের খবর পুরোপুরি এড়িয়ে গিয়েছেন। টুইটারে তিনি জানিয়েছেন, “এই খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং মনগড়া। এই খবরের কোনও সত্যতা নেই।”

উল্লেখ্য, মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা সহ বেশ কিছু ছোট ছোট রাজ্যে কংগ্রেস থেকে নেতারা তৃণমূলের শিবিরে চলে এসেছেন। আর তাঁদের দলে টানতে প্রশান্ত কিশোর ব্যাপকভাবে জড়িত ছিলেন বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।

বিষয়টি নিয়ে বড্ড রাখঢাক রয়েছে তৃণমূল শিবিরেও। প্রশান্ত কিশোর নিজেও জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি বেঙ্গালুরুতে নেই। তিনি কলকাতায়। এদিকে কংগ্রেসের নেতারাও বলছেন, পিকে ত্রিপুরার নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত। তিনি বেঙ্গালুরুতে নেই।

তবে কংগ্রেসের অন্য এক সূত্র মারফত খবর, প্রশান্ত কিশোর বেঙ্গালুরুতে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে শহরের এক পাঁচ তারা হোটেলে লিঙ্গায়ত গোষ্ঠীর নেতাদের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন বিরোধী নেতার সঙ্গে দেখাও করেছেন তিনি। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, বেঙ্গালুরুতে কোথাও তৃণমূলের একটি দলীয় কার্য্যালয় তৈরির জন্য জায়গাও নাকি খোঁজ করেছেন প্রশান্ত কিশোর।

বঙ্গ রাজনীতিতে পিকে নামটা এখন এতটাই চর্চিত যে তাঁর বিষয়ে আলাদা করে কিছু লেখার প্রয়োজন পড়ে না। তৃণমূলকে সর্বভারতীয় স্তরে নিয়ে যেতে পিকে যে বিরাট ভূমিকা নিচ্ছেন, সেটা কার্যত পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকদিন আগেই। সম্প্রতি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো জানিয়েছিলেন, প্রশান্ত কিশোর এবং তাঁর সংস্থা আইপ্যাক-ই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে শামিল হওয়ার জন্য উৎসাহ দিয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আগে দেখা না হলেও তাঁদের সঙ্গে কথা হওয়ার পর তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জাতীয় স্তরে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো মনে হয়েছে লুইজিনহোর।

তাঁর কথায়, “আপনারা হয়তো বিশ্বাস করবেন না। কিন্তু আগে কখনই আমার সঙ্গে ওঁদের দেখা হয়নি। কিন্তু ওঁরা দারুণ। শুধুমাত্র তৃণমূলের নেতৃত্ব হিসেবে ওঁরা ভাল এমনটা নয়। বরং জাতীয় স্তরেও জন্যও ওঁরা ভাল নেতা। তবে ওঁদের সঙ্গে দেখা করিনি। আমি টিম আইপ্যাক এবং প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। পাকা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই মুখোমুখি দেখা হয়েছিল।”

আরও পড়ুন : TMC in Goa: গোয়ার সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই বিজেপির জোট রয়েছে, দাবি সাংসদ মহুয়া মৈত্রের