Coal Shortage: রাজ্যগুলির কাছে বকেয়া ২০ হাজার কোটি টাকা, তবু আটকে নেই কয়লার জোগান
Coal India: বিশাল অঙ্কের বকেয়া থাকা সত্ত্বেও কোনও রাজ্যের কয়লার জোগান আটকে রাখা হয়নি। রাজ্যগুলি থেকে সবমিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে কোল ইন্ডিয়ার।
নয়া দিল্লি : দেশে যে কয়লার কোনও সঙ্কট নেই সে কথা বার বার কেন্দ্রের তরফে বলা হচ্ছিল। কোল ইন্ডিয়ার মুখেও সেই একই আশ্বাসবাণী শোনা গিয়েছে। দেশে কয়লা উৎপাদনে আরও গতি আনতে এবার উদ্যোগী হল কেন্দ্র। আগামী পাঁচদিনের মধ্যে দৈনিক কয়লা উৎপাদন ১.৯৪ মিলিয়ন টন থেকে বাড়িয়ে ২ মিলিয়ন টন করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, বিগত চারদিন ধরে কেন্দ্রের মজুত করা কয়লার পরিমাণ আরও বাড়ানো শুরু হয়েছে। রাজ্যগুলির থেকে যেমন চাহিদা আসছে, তা পূরণ করে দিচ্ছে কেন্দ্র। বিশাল অঙ্কের বকেয়া থাকা সত্ত্বেও কোনও রাজ্যের কয়লার জোগান আটকে রাখা হয়নি। রাজ্যগুলি থেকে সবমিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে কোল ইন্ডিয়ার। এক মাসের মধ্যেই পরিস্থিতি আবার আগের মতো হয়ে যাবে। বিদ্যুৎ বা কয়লা সরবরাহের ক্ষেত্রে যে সঙ্কটের আশঙ্কা করা হচ্ছিল, তেমন কোনও সঙ্কটের পরিস্থিতি নেই বলেই সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছে ওই সূত্র।
ওই সূত্র আরও জানিয়েছে, কয়লা মন্ত্রক জানুয়ারি মাস থেকে কোল ইন্ডিয়া থেকে স্টক সংগ্রহের জন্য রাজ্যগুলিকে লিখছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সাড়া পায়নি। কোল ইন্ডিয়া শুধুমাত্র একটি সীমা পর্যন্ত স্টক করতে পারে। কারণ, অতিরিক্ত মজুত করলে তা উল্টে সমস্যা করতে পারে। ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান এবং পশ্চিমবঙ্গে কয়লার খনি রয়েছে, কিন্তু সেখানে কয়লা উত্তোলনে তেমন গতি ছিল না।
কেন্দ্রের ওই সূত্র জানিয়েছে, রাজ্যগুলি নিজেরা তেমনভাবে কয়লা উত্তোলন করছিল না। আর কোল ইন্ডিয়া বারবার বলা সত্ত্বেও রাজ্যগুলি কয়লার স্টক নিচ্ছিল না। আর এটা আজকের এই পরিস্থিতির একটা বড় কারণ।
এদিকে সেন্ট্রাল কোলফিল্ড লিমিটেডের তরফে গতকাল জানানো হয়েছিল, যেমন সঙ্কটের কথা বলা হচ্ছে, আসলে তেমন কিছুই নয়। কয়লার মজুত এবার কিছুটা কম রয়েছে। তবে তাতে সঙ্কটের কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। এই বছর অনেক বেশি পরিমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। সেই কারণেই কম পরিমাণে কয়লা মজুত রয়েছে। এই অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত কোল ইন্ডিয়ার তরফে অন্তত ৫৩ মিলিয়ন টন কয়লা সরবরাহ করা হয়েছে। যা গতবছরের প্রথম ভাগে যে পরিমাণে কয়লা সরবরাহ করা হয়েছিল, তার থেকে অনেকটা বেশি। প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে কয়লা সরবরাহ।
শেষ তিন – চার দিন ধরে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে কয়লা পাঠানো হচ্ছে। যদি ১.৬ মিলিয়ন টনের চাহিদা থাকে, তাহলে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন টনই জোগান দেওয়া হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে আগামী এক – দুই সপ্তাহের মধ্যে গোটা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
কোল ইন্ডিয়ার কাছে যা মজুত রয়েছে তা অন্তত ২০ দিন খুব ভাল ভাবে কেটে যাবে। সিসিএলে মজুত রয়েছে ১.৯৫ মিলিয়ন টন এবং বিসিসিএলে মজুত রয়েছে ৬.৫ মিলিয়ন টন।
আরও পড়ুন : Coal Shortage: কয়লার কোনও সঙ্কট নেই, ভরসা জোগাচ্ছে কোল ইন্ডিয়া