Joshimath: ‘উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টে যান’, জোশীমঠ নিয়ে আবেদন শুনল না সুপ্রিম কোর্ট

এই বিষয়টি উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টকে 'গুরুত্ব সহকারে' দেখতে হবে বলেও জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি নরসিমহা ও বিচারপতি পারদিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চ।

Joshimath: 'উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টে যান', জোশীমঠ নিয়ে আবেদন শুনল না সুপ্রিম কোর্ট
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 16, 2023 | 8:20 PM

নয়া দিল্লি: জোশীমঠ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা শুনল না সুপ্রিম কোর্ট। এব্যাপারে উত্তরাখণ্ড হাই কোর্ট-ই সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে সোমবার স্পষ্টত জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত। তবে বিশেষভাবে এই বিষয়টি উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের দেখা উচিত বলে উল্লেখ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পি.এস নরসিমহার এবং বিচারপতি পারদিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চ।

শীর্ষ আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, জোশীমঠ বিপর্যয়ের ঘটনাটির দিকে কেন্দ্র ও রাজ্যের বিশেষভাবে নজর দেওয়ার দাবি তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জ্যোতিষ পীঠের ৪৬ তম শঙ্করাচার্য, স্বামী অভিমুক্তেশ্বকানন্দ সরস্বতী। আবেদনপত্রে জোশীমঠে বিপর্যস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি তোলেন তিনি। এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পি.এস নরসিমহার এবং বিচারপতি পারদিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি হয়। কিন্তু, শুনানির শুরুতেই মামলা কার্যত খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। একইসঙ্গে আবেদনকারীর উদ্দেশ্যে কার্যত ক্ষোভের সুরে শীর্ষ আদালত স্পষ্টত জানায়, “আমরা চাই না কেউ এই প্রক্রিয়াগুলি কেবল সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হওয়ার জন্য ব্যবহার করুক।”

স্বামী অভিমুক্তেশ্বকানন্দ সরস্বতী তাঁর আবেদনপত্রে জোশীমঠের বিপর্যয় ঠেকাতে কেন্দ্র ও রাজ্যকে যৌথভাবে যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে মোকাবিলা করার কথা বলেছেন। বৃহৎশিল্প তৈরির জন্যই এই বিপর্যয় বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে উত্তরাখণ্ড সরকার ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর যৌথভাবে জোশীমঠের বিপর্যস্ত বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়ানোর ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়ার কথাও আবেদনপত্রে উল্লেখ করেন স্বামী অভিমুক্তেশ্বকানন্দ সরস্বতী। কিন্তু, তাঁর এই আবেদনের বিষয়টি উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টে স্থানান্তরিত করে দেয় শীর্ষ আদালত। উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টে এই বিষয়ে নতুন করে পিটিশন করতে হবে বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে এই বিষয়টি উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টকে ‘গুরুত্ব সহকারে’ দেখতে হবে বলেও জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি নরসিমহা ও বিচারপতি পারদিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চ।

প্রসঙ্গত,জোশীমঠে ভূমিধসে রাতারাতি গৃহহারা হয়েছে ৬০০-র বেশি মানুষ। তারপর যত দিন গিয়েছে, ততই এই সংখ্যা বেড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়ে গত সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন স্বামী অভিমুক্তেশ্বকানন্দ সরস্বতী। গোটা বিষয়টিতে যাতে সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করে, সে ব্যাপারে আবেদন জানান তিনি। কিন্তু, জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শুনানি করতে রাজি হয়নি সুপ্রিম কোর্ট। বরং সব জরুরি বিষয়ে কেন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে হবে বলে প্রশ্ন তুলে গত মঙ্গলবার জোশীমঠ মামলার শুনানি শোনেনি শীর্ষ আদালত। এদিন এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন স্থির করা হয়। কিন্তু, এদিন মামলাটি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।