Supreme Court: সারা দেশেই কি নিষিদ্ধ হবে মদ, তৈরি হবে জাতীয় নীতি? কী বলল শীর্ষ আদালত?

National alcohol prevention policy: সারা দেশে মদ প্রতিরোধ করার বিষয়ে একটি জাতীয় নীতি তৈরির বিষয়ে আবেদন করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। কী বলল আদালত?

Supreme Court: সারা দেশেই কি নিষিদ্ধ হবে মদ, তৈরি হবে জাতীয় নীতি? কী বলল শীর্ষ আদালত?
গোটা দেশ জুড়ে একটি জাতীয় অ্যালকোহল প্রতিরোধ নীতি তৈরির দাবি উঠল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 12, 2022 | 9:02 PM

নয়া দিল্লি: বিহার-গুজরাটের মতো ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য়েই মদ বিক্রি এবং মদ্যপান নিষিদ্ধ। এবার গোটা দেশ জুড়ে একটি জাতীয় অ্যালকোহল প্রতিরোধ নীতি তৈরির দাবি উঠল। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা করা হয়েছিল। সোমবার সেই মামলার শুনানি খারিজ করে দিয়ে আদালত জানিয়েছে, এই বিষয়ে হাত দেওয়া হবে না। ভারতের প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত, বিচারপতি হিমা কোহলি এবং এস রবীন্দ্র ভাটের বেঞ্চ বলেছে, “এর একটি রাজস্বের দিক রয়েছে। যদি এই বিষয়ে কিছু করা হয় তবে সেই রাজস্ব বন্ধ হয়ে যাবে। এই রাজস্ব বিভিন্ন সামাজিক কারণে ব্যবহার করা হয়। এই আবেদনে সরকারকে একটি নীতি তৈরির নির্দেশ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এটা আমাদের এক্তিয়ারে নেই।”

শুনানির সময়, আবেদনকারীর আইনজীবী দাবি করেন, কয়েকটি রাজ্যে মদ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অন্যান্য রাজ্যগুলি মদ বিক্রিতে উত্সাহ দিচ্ছে। অ্যালকোহলের গুরুতর প্রভাব সম্পর্কে সরকারী প্রতিবেদন পেশ করে তিনি জানান, দেশের একটি ছোট জনসংখ্যা গুরুতরভাবে মদ্যপানে আসক্ত। এই সমস্যাটি ভারতের সংবিধানের সমকালীন তালিকার অন্তর্ভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্র এই বিষয়ে কোনও নীতি তৈরি করেনি। কেন্দ্র এই সমস্যা থেকে সম্পূর্ণরূপে হাত ধুয়ে ফেলেছে। যারা মদের নেশায় আসক্ত তাদের হিংসাত্মক প্রবণতা থাকে। সমাজের উপর ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে, বিশেষ করে শিশুদের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। প্রসঙ্গত, সংবিধানের সমকালীন তালিকা বা তালিকা-৩ হল ভারতের সংবিধানের সপ্তম তফসিলে দেওয়া ৫২টি বিষয়ের একটি তালিকা। এই বিষয়গুলির ক্ষেত্রে রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারেরও বিবেচনা করার ক্ষমতা থাকে।

প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ অবশ্য এই যুক্তিকে খুব একটা আমল দেননি। তিনি জানিয়েছেন, কার্যত আমাদের এই বিষয়ে নীতিমালা তৈরির নির্দেশ দিতে বলা হয়েছে। সমবর্তী তালিকার বিষয়গুলি তাদের বিবেচনার বিষয়। এই বিষয়ে রাজ্য-স্তরের আইন রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যেরক আইনে হস্তক্ষেপ করতে চায় কি না সেটা তারাই বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। এটা সম্পূর্ণরূপে সামাজিক সংস্কারের বিষয় নয়। এর সঙ্গে রাজস্বে সমস্যা জড়িয়ে আছে। অনেক রাজ্যই মদ থেকে উৎপন্ন রাজস্বের উপর নির্ভরশীল। যদি মদ নিষিদ্ধ করার হয়, তাহলে সেই রাজস্বের কী হবে? সেই রাজস্ব বাবদ আসা অর্থ সামাজিক উন্নতির জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলি আদালতের হস্তক্ষেপের বিষয় নয়। আদালত আরও বলেছে, “এই ধরনের বিষয়গুলি নিয়ে আপনি নাড়াঘাঁটা করতে পারেন, কিন্তু তার ফল হয় অন্য। আপনি যা চান তা করতে পারেন। আমরা এই বিষয়টিকে স্পর্শ করব না।