“নির্বাচন কমিশনের কোনও অধিকার নেই”, কমল নাথ ইস্যুতে পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ উপ-নির্বাচনে "স্টার ক্যাম্পেনার" হিসাবে কাজ করছেন। কিন্তু দলীয় প্রচারে লাগাতার বিতর্কিত মন্তব্য করায় ৩০ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন তাঁকে নির্বাচনী আচরণবিধি অমান্য করার দায়ে প্রচার থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেয়।

নির্বাচন কমিশনের কোনও অধিকার নেই, কমল নাথ ইস্যুতে পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের
ফাইল চি
Follow Us:
| Updated on: Nov 27, 2020 | 1:13 PM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: সর্বোচ্চ আদালতেই ধাক্কা খেল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)! মধ্য প্রদেশের উপ-নির্বাচনে তারকা প্রচারকের তালিকা থেকে কমল নাথ (Kamal Nath)-কে সরানোর নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এ প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে (Chief Justice S A Bobde) বলেন,”নির্বাচন কমিশনের এধরনের পদক্ষেপ করার কোনও এক্তিয়ার নেই।”

মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ (Kamal Nath) উপ-নির্বাচনে “স্টার ক্যাম্পেনার” হিসাবে কাজ করছেন। কিন্তু দলীয় প্রচারে লাগাতার বিতর্কিত মন্তব্য করায় ৩০ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন (Election Commission) তাঁকে নির্বাচনী আচরণবিধি অমান্য করার দায়ে প্রচার থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেয়। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান কমল নাথ।

নির্বাচন কমিশনকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করে প্রধান বিচারপতি বলেন,”একজন প্রার্থীকে তারকা প্রচারকের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার ক্ষমতা কে দিয়েছে? দলের নেতা দিয়েছে নাকি নিজেই?” তিনি আরও যোগ করে বলেন,”একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান কে হবেন, তা নির্ধারণ করার ক্ষমতা কে দিয়েছে?দলের হয়ে কে প্রচার করবে তা আপনি ঠিক করবেন নাকি দল?”

গত মাসে দাবরায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বিজেপি নেত্রী ইমারতী দেবীকে কটাক্ষ করে “আইটেম” বলেন কমল নাথ। তিনি বলেন, কংগ্রেস প্রার্থী সিদেসাধা একজন মানুষ, তার প্রতিপক্ষের মতো নন, যিনি একজন “আইটেম”।

এই মন্তব্যের পরই নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে কমল নাথকে সতর্ক করা হয় এবং নির্বাচনে আচরণবিধি মনে করিয়ে দেওয়া হয়। তবে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা থামেননি। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে তিনি আক্রমণ শানিয়ে বলেন, তিনি একজন “নাটকের অভিনেতা, যার মুম্বইয়ে গিয়ে সিনেমায় অভিনয় করা উচিত।”

নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে ৩০ অক্টোবর কমল নাথকে প্রচার থেকে সরে দাঁড়াতে বলা হলে তিনি পরের দিনই অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টে এই মর্মে জানান যে, “নির্বাচনে কে প্রচার করবে, তা ঠিক করার অধিকার কেবল দলের রয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন দলের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এটি মত প্রকাশ ও গতিবিধির মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন।”