SC Verdict on Gujarat Riot: ‘আর্জির সারবত্তা নেই’, গুজরাট দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদীর ক্লিনচিটই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

PM Narendra Modi: ২০০২ সালে গুজরাটে যে দাঙ্গা হয়েছিল, তাতে নাম জড়িয়েছিল তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। পরে তদন্তে তাঁকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়।

SC Verdict on Gujarat Riot: 'আর্জির সারবত্তা নেই', গুজরাট দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদীর ক্লিনচিটই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট
অলঙ্করণ: অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 24, 2022 | 12:11 PM

নয়া দিল্লি: গুজরাট দাঙ্গা (Gujarat Riot) মামলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)-র ক্লিনচিটকেই বহাল রাখল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। ২০০২ সালে গুজরাটে যে দাঙ্গা হয়েছিল, তাতে নাম জড়িয়েছিল তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। পরে তদন্তে তাঁকে ক্লিনচিট (Clean Chit) দেওয়া হয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই দাঙ্গায় মৃত কংগ্রেস সাংসদের স্ত্রী। তবে এদিন সুপ্রিম কোর্টের তরফে সিটের ক্লিনচিট রিপোর্টকেই বহাল রাখা হয়।  একইসঙ্গে ক্লিনচিট খারিজ করার আর্জির কোনও সারবত্তা নেই বলেও জানানো হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফে।

শুক্রবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এএম খানউইলকর জানান, ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিশেষ তদন্তকারী দল যে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছিল, তা বহাল রাখা হচ্ছে। দাঙ্গায় কংগ্রেস সাংসদের মৃত্যুর জেরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ক্লিনচিট খারিজ করার আবেদনের কোনও সারবত্তা নেই।

গত বছরই প্রয়াত কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ এহসান জাফরির স্ত্রী জ়াকিয়া জাফরি সিটের রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন। প্রায় দুই দশক আগে গুজরাটের গোধরায় পুণ্যার্থী বোঝাই একটি ট্রেনের কামরায় আগুন লাগিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে যে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছিল রাজ্যে। গুলবার্গ সোসাইটি হত্যাকাণ্ডে যে ৬৮ জনের মৃত্য়ু হয়েছিল, তার মধ্যেই একজন ছিলেন এহসান জাফরি।  তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ ছিল, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও আরও ৬২ জনের সক্রিয় ভূমিকা ছিল এই দাঙ্গায়। যদিও গত বছর ডিসেম্বর মাসে বিশেষ তদন্তকারী দলের রিপোর্টে প্রধানমন্ত্রীকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়। ওই রায়কেই চ্যালেঞ্জ করেছিলেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতার স্ত্রী।

মামলার শুনানি চলাকালীন সিটের তরফে জানানো হয়েছিল যে, বর্তমানে এই পিটিশন ছাড়া কেউই ২০০২ সালের ওই দাঙ্গার তদন্তের বিরুদ্ধে কথা বলেননি। সিটের তরফে হাজির আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেন,  শীর্ষ আদালতের উচিত ট্রায়াল কোর্ট ও গুজরাট হাই কোর্টের সিদ্ধান্তকেই বহাল রাখা, নাহলে এটি একটি অন্তহীন বিচার প্রক্রিয়ায় পরিণত হবে। অন্যদিকে, জ়াকিয়া জাফরির তরফে হাজির আইনজীবী কপিল সিবল জানিয়েছিলেন, সিট তদন্ত করেনি, বরং অভিযুক্তদের রক্ষা করার চেষ্টা চালিয়েছিল।