Supreme Court: ‘গাড়ির মালিক চালকের লাইসেন্স যাচাই করবেন, এটা আশা করা যায় না’, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের
Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে গাড়ির দুর্ঘটনাজনিত কারণে বীমা সংক্রান্ত একটি মামলা চলছিল। সেই মামলার শুনানি চলাকালীনই এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
নয়া দিল্লি : একজন গাড়ির মালিক যদি তাঁর গাড়ির জন্য কোনও চালক নিয়োগ করার সময়, তাঁর গাড়ি চালানোর দক্ষতা সম্পর্কে সন্তুষ্ট হন, তাহলে আর ড্রাইভিং লাইসেন্সের সত্যতা যাচাই করার প্রয়োজন হয় না। একজন গাড়ির মালিকের থেকে এমন আশা করা যায় না, তিনি চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্সের সত্যতা যাচাই করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটবেন। শনিবার এক মামলায় এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টর বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং বিচারপতি বিক্রম নাথের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে গাড়ির দুর্ঘটনাজনিত কারণে বীমা সংক্রান্ত একটি মামলা চলছিল। সেই মামলার শুনানি চলাকালীনই এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
প্রসঙ্গত, একটি ট্রাক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। আর সেই ট্রাকের জন্য যে গাড়ি বীমা সংস্থা থেকে বীমা করানো হয়েছিল, সেই বীমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই গাড়ির মালিক এবং বীমা সংস্থার মধ্যে সংঘাত তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সেই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। আ্রদালতে মামলার শুনানি চলাকালীন, ট্রাকের মালিক জানিয়েছিলেন, চালককে কাজে নিয়োগ করার সময় তিনি চালকের গাড়ি চালানোর দক্ষতা যাচাই করেছিলেন। চালকও সন্তোষজনকভাবেই গাড়ি চালিয়েছিলেন। গাড়ির মালিক আরও জানান, ওই চালক দুর্ঘটনা ঘটার তিন বছর আগে থেকে তাঁর গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর গাড়ির চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল নাগাল্যান্ডের, কিন্তু সেটি তখন জমা দেওয়া হয়নি। এদিকে পরবর্তী সময়ে চালকের লাইসেন্সটি জাল দেখা যায়। সেই নিয়ে মোটর অ্যাক্সিডেন্ট ক্লেইম ট্রাইবুনালের তরফে রায় গিয়েছিল গাড়ির মালিকের বিপক্ষে। বীমা বাবদ যে টাকা ওই গাড়ির মালিককে দেওয়া হয়েছিল, সেই টাকা আপ-টু-ডেট সুদ সহ পুনরুদ্ধার করার স্বাধীনতা দেওয়া হয় বীমা সংস্থাকে।
এরপর দিল্লি হাইকোর্টে গাড়ির মালিকের করা আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। এরপর সুপ্রিম কোর্টে গাড়ির মালিক দাবি করেন, মালিকের কাছে যে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখানো হয়, তার সত্যতা যাচাই করার কোনও উপায় নেই। যে চালককে তিনি কাজ দিয়েছিলেন, তাঁকে কাজ দেওয়ার আগে তিনি গাড়ি চালানোর দক্ষতা যাচাই করে নিয়েছিলেন এবং কাজ দেওয়ার আগে যথেষ্ট সতর্কতা নিয়েছিলেন। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, “মালিক যদি বলে থাকেন যে চালক নাগাল্যান্ড থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করেছিলেন কিন্তু রেকর্ডে এমন কোনও লাইসেন্স তৈরি করা হয়নি। তবে এটি মালিকের পক্ষ থেকে স্পষ্টতই একটি ভুল। কিন্তু এই ভুলকে মালিকের কাছ থেকে বীমার টাকা পুনরুদ্ধার করার জন্য স্বাধীনতা হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না বীমা কোম্পানি।”