CAA: পিনারাই মমতার পথে হাঁটলেন স্টালিনও, তামিলনাড়ু বিধানসভায় গৃহীত হল সিএএ বিরোধী প্রস্তাব

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করল ডিএমকে (DMK)। বুধবার, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব গ্রহণ করলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন (M K Stalin)।

CAA: পিনারাই মমতার পথে হাঁটলেন স্টালিনও, তামিলনাড়ু বিধানসভায় গৃহীত হল সিএএ বিরোধী প্রস্তাব
ছবি গ্রাফিক্স
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 08, 2021 | 9:40 PM

চেন্নাই: নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করল ডিএমকে (DMK)। বুধবার, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব গ্রহণ করলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন (M K Stalin)। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তামিলনাড়ু (Tamilnadu)সরকারের তরফে এই বিল প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করা হবে। তামিলনাড়ু সরকারের যুক্তি, এই আইন ধর্ম নিরপেক্ষ নয়। ধর্মের ভিত্তিতে ভারতে আগত শরণার্থীদের আশ্রয়ের কথা বলা থাকলেও ধর্ম নিরপেক্ষ দেশের ক্ষেত্রে এই আইন বেমানান।

তামিলনাড়ু বিধানসভার প্রধান বিরোধী দল এআইএডিএমকে (AIADMK) প্রস্তাব পেশের আগেই অধিবেশন কক্ষ থেকে ওয়াক আউট করে। এআইএডিএমকের জোটসঙ্গী বিজেপি (BJP) বিধায়করাও ওয়াক আউট করেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সিএএ (CAA) বিরোধী এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে বিজেপির অপর শরিক দল পিএমকে (PMK)।

বিরোধী দলনেতা এ.পালানিস্বামী (Palaniswami) বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের বলেন, “সরকার একের পর এক আম্মার (জয়ললিতার) (Jayalalithaa) প্রকল্প বাতিল করছে এবং তাঁরা আমাদের এই বিষয়গুলি বিধানসভার অন্দরে বলতে দিচ্ছে না। তাই আমরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে ওয়াক আউট করেছি।” বিজেপির পরিষদীয় নেতা এন.নাগেন্দ্রন সিএএর সমর্থনে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

প্রস্তাবে উল্লেখিত রয়েছে “ভারতীয় সংবিধানের (Indian Constitution) গঠন অনুযায়ী ধর্ম নিরপেক্ষ দেশে সিএএর মতো আইন কার্যকর হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। এই ধরনের আইন দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষে বিপজ্জনক। গণতান্ত্রিক রীতি অনুসারে সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের কথা ভেবে দেশ পরিচালিত হওয়া উচিৎ। দৃশ্য়ত সিএএ আইনটি শরণার্থীদের স্বার্থরক্ষার পরিপন্থী। বরং এই আইন প্রণয়নের ফলে ধর্ম ও আদি বাসস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে শরণার্থীদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হবে। তাই এই সভা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ করছে এই আইন যেন প্রত্য়াহার করা হয়।”

এর আগে পঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal),কেরল, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়ের মতো অ- বিজেপি রাজ্যগুলি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করেছিল। কমলনাথ মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বিধানসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করেছিলেন।

শ্রীলঙ্কা থেকে আগত তামিল শরণার্থীদের মানবিকতার খাতিরে নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। কিন্তু তাদের ক্ষেত্রে সিএএ প্রযোজ্য নয়। মে মাসে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পর স্ট্যালিন সিএএ বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করেন। এর আগে বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন নিয়ে তামিলনাড়ু বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ হয়।

সংসদে (Parliament)নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, ২০১৯ পাশের সময় এআইএডিএমকে সংশ্লিষ্ট আইনের পক্ষে ভোট করেছিল, কিন্তু ভোটের সময় তাঁরা নির্বাচনী ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতি দেয়, সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার প্রশ্নে তারা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সিএএ প্রত্যাহারের আবেদন করবে।

আরও পড়ুন বিধানসভা পিছু ৮ থেকে ১০ কোম্পানি বাহিনী! ৩ কেন্দ্রের ভোটেও থাকবে বন্দুকধারী আধাসেনা