Crime News: সঙ্গমে লিপ্ত যুগলের গায়ে ঢেলে দেওয়া হল ফেভিকুইক, নিজেদের আলাদা করতে যৌনাঙ্গ ছিড়ল যুবকের

Rajasthan: সম্প্রতিই ওই তান্ত্রিক ৫০টি সুপার গ্লু কেনে এবং সেগুলিকে একটি বোতলে ঢালে। গত ১৫ নভেম্বর বিকেলে তিনি রাহুল ও সোনুকে জঙ্গলে দেখা করতে ডাকেন। সেখানে তাদের ভুল বুঝিয়ে তাঁর সামনেই যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে বলে।

Crime News: সঙ্গমে লিপ্ত যুগলের গায়ে ঢেলে দেওয়া হল ফেভিকুইক, নিজেদের আলাদা করতে যৌনাঙ্গ ছিড়ল যুবকের
অলঙ্করণ: অভিজিৎ বিশ্বাস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 23, 2022 | 12:37 PM

জয়পুর: গায়ে একটা সুতো অবধি নেই, জঙ্গলের মধ্যে পড়েছিল নগ্ন যুবক-যুবতীর দেহ। একজনের গলা কাটা, আরেকজনের বুকে ছুরির আঘাত। ভয়ঙ্কর অবস্থায় দেহ দুটি পড়ে থাকতে দেখেই পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ছিল, পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে হয়তো খুন করা হয়েছে ওই যুবক-যুবতীকে। কিন্তু তদন্ত যত এগোল, ততই বিস্ফোরক তথ্য এল পুলিশের হাতে। জানা গেল, সম্মান রক্ষার্থে নয়, বরং প্রতিহিংসার বশেই জোড়া খুন করা হয়েছে। জঙ্গলের মধ্যে যখন মিলনে লিপ্ত ছিলেন ওই যুগল, সেই সময় তাদের গায়ে ঢেলে দেওয়া হয় ফেভিকুইক। নিজেদের আলাদা করতে গিয়ে ছিড়ে যায় ওই যুবকের যৌনাঙ্গ। রাজস্থানের উদয়পুরের এক যুগলের খুনের ঘটনায় স্তম্ভিত পুলিশও।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৮ নভেম্বর উদয়পুরের কেলাবাভাডির জঙ্গল থেকে এক যুগলের নগ্ন দেহ উদ্ধার করা হয়। দেহ উদ্ধারের তিন দিন আগেই ওই যুগলের মৃত্যু হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হয়েছিল, সম্মান রক্ষার্থেই ওই যুগলকে খুন করা হয়েছিল। কিন্তু  পরবর্তী সময়ে তদন্তে এক তান্ত্রিকের নাম সামনে আসে। জিজ্ঞাসাবাদের পরে ওই যুগলকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ৫৫ বছর বয়সী ওই তান্ত্রিককে।

জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম রাহুল মীনা (৩০)। তিনি একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। তার সঙ্গেই যে যুবতীর দেহ উদ্ধার করা হয়, তাঁর নাম সোনু কুওয়ার (২৮)। দুজনেই বিবাহিত ছিলেন। দুইজনের পরিবারই ইচ্ছাপূর্ণ শেষনাগ ভাবজী মন্দিরের ওই তান্ত্রিকের কাছে নিয়মিত আসতেন। সেখানেই তাদের পরিচয় হয়। কিছুদিন পরই তাদের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি রাহুলের স্ত্রী জানতে পারেন, তাদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এরপরই রাহুলের স্ত্রী ওই তান্ত্রিকের দ্বারস্থ হন।

ভালেশ নামক ওই তান্ত্রিক মূলত দোষ মুক্তির জন্য বিভিন্ন মাদুলি দিতেন। তিনিই প্রথম রাহুলের স্ত্রীকে তাঁর ও সোনুর অবৈধ সম্পর্কের বিষয়ে জানিয়েছিলেন। রাহুল গোটা বিষয়টি জানতে পেরেই ওই তান্ত্রিককে হুমকি দেন এবং যৌন হেনস্থার ভুয়ো অভিযোগ করে ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয়ও দেখান। এই ঘটনার পরই তান্ত্রিক মনে মনে ওই যুগলকে খুনের পরিকল্পনা কষে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতিই ওই তান্ত্রিক ৫০টি সুপার গ্লু কেনে এবং সেগুলিকে একটি বোতলে ঢালে। গত ১৫ নভেম্বর বিকেলে তিনি রাহুল ও সোনুকে জঙ্গলে দেখা করতে ডাকেন। সেখানে তাদের ভুল বুঝিয়ে তাঁর সামনেই যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে বলে। ওই যুগল যখন যৌনতায় মেতেছিল, সেই সময়ই তান্ত্রিক আঠা তাদের শরীরে, বিশেষ করে যৌনাঙ্গে ঢেলে দেয়। ওই তান্ত্রিকের পরিকল্পনা ছিল, সকলে যেন ওই যুগলকে সঙ্গমরত অবস্থায় দেখতে পায়।

শরীরে আঠা ঢেলে দেওয়ার পরই রাহুল ও সোনুর শরীর একে অপরের সঙ্গে আটকে যায়। তারা নিজেদের ছাড়ানোর চেষ্টা করতেই রাহুলের যৌনাঙ্গ ছিড়ে যায়। সোনুর গোপনাঙ্গেও আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। রাহুল ও সোনু যখন নিজেদের ছাড়ানোর চেষ্টা করছিল, সেই সময় অভিযুক্ত তান্ত্রিক পিছন থেকে এসে রাহুলের গলা কেটে দেয়। সোনুকেও কুপিয়ে খুন করেন। এরপরই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, যুগলের দেহ উদ্ধারের পর গোটা এলাকার ৫০টি সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয় এবং প্রায় ২০০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপরই তান্ত্রিকের খোঁজ মেলে।