KCR: বিজেপি-কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ জানাতে শীঘ্রই আসছে সম্পূর্ণ নতুন একটি জাতীয় দল

Telangana CM KCR: রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) কেসিআর জানিয়েছেন, শীঘ্রই তিনি একটি 'জাতীয় দল' খুলবেন।

KCR: বিজেপি-কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ জানাতে শীঘ্রই আসছে সম্পূর্ণ নতুন একটি জাতীয় দল
জাতীয় দল গঠনের ঘোষণা করলেন কেসিআর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 11, 2022 | 10:51 PM

হায়দরাবাদ: ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই একের পর এক বিরোধী দলনেতার জাতীয় মুখ হয়ে ওঠার বাসনা প্রকাশ পাচ্ছে। তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি বা টিআরএস দলের সভাপতি হলেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। কিন্তু, সম্ভবত তেলঙ্গানা রাজ্যের নাম সমন্বিত রাজনৈতিক দলকে দিয়ে জাতীয় উচ্চাকাঙ্খা পূর্ণ হবে না বলে মনে করছেন তিনি। রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) কেসিআর জানিয়েছেন, শীঘ্রই তিনি একটি ‘জাতীয় দল’ খুলবেন। সেই দল তেলঙ্গানার বাইরেও বেশ কয়েকটি রাজ্যে লড়াই করবে। গত বেশ কয়েক মাস ধরেই জাতীয় উচ্চাকাঙ্খা পূরণের লক্ষ্যে কেসিআর-কে একের পর এক পদক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছে।

এদিন কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কার্যালয় থেকে জাতীয় দল খোলার বিষয়ে এক বিবৃতিতে প্রকাশ করা হয়েছে। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বিভিন্ন ক্ষেত্রের বুদ্ধিজীবী, অর্থনীতিবিদ এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর বিকল্প জাতীয় এজেন্ডা নিয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যেমন আমরা তেলঙ্গানা আন্দোলন শুরু করার আগেও করেছিলাম। খুব শিগগিরই একটি জাতীয় দল গঠন করা হবে এবং তার নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। সূত্রের খবর, দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করতে পারে কেসিআর-এর নতুন দল। এছাড়াও, কেসিআর গুজরাট, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশের মতো কয়েকটি রাজ্যের নির্বাচনে লড়াই করার ভাবনা-চিন্তা করছেন।

চলতি বছরের এপ্রিলে তাদের প্রতিষ্ঠা দিবসে, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে “জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা” পালন করার প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল টিআরএস। তারা বলেছিল বিজেপি তাদের রাজনৈতিক সুবিধার জন্য “সাম্প্রদায়িক অনুভূতি”কে কাজে লাগাচ্ছে। তাই, তাদের প্রতিহত করতে হবে। পরবর্তীকালে কেসিআর “বিজেপি-মুক্ত ভারত” গঠনের ডাকও দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই তিনি অবিজেপি এবং অকংগ্রেসী জোট গড়ার বিষয়ে একাধিক আঞ্চলিক দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সূত্রের খবর, কেসিআর-এর প্রতিষ্ঠিত নয়া জাতীয় দলটির নাম হতে পারে ‘ভারতীয় রাষ্ট্রীয় সমিতি’ কিংবা ‘উজ্জ্বল ভারত পার্টি’ কিংবা ‘নয়া ভারত পার্টি’।

এদিন সকালেই কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিএস দলের প্রধান এইচডি কুমারস্বামী কেসিআরকে ফোন করেছিলেন। সূত্রের দাবি, দুই নেতার মধ্যে প্রস্তাবিত জাতীয় দলের রূপ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন রাজ্য়ে সফর করে আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে বৈঠকও করেছেন কেসিআর। দিন কয়েক আগে বিহারে গিয়ে নীতীশ কুমার এবং তেজস্বী যাদবের সঙ্গেও বৈঠক করেন। তাঁদের সঙ্গেও নয়া জাতীয় দল গঠনের বিষয়ে কথা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কোনও রাজনৈতিক দলের জাতীয় দলের মর্যাদা পেতে, লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে চারটিরও বেশি রাজ্যে বৈধ ভোটের কমপক্ষে ৬ শতাংশ প্রয়োজন হয়। কেসিআর কি সেটা জোগার করতে পারবেন? এখন সেটাই দেখার।