Telangana’s serial killer: ১৭ জন খতম! নির্জন স্থানে বসে মহিলাদের সঙ্গে মদ খেত ব্যক্তি, এরপর যা করত…
Telangana Murder Case: শ্রীনু মদের নেশায় আসক্ত ছিল, বিভিন্ন বারে গিয়ে সে মহিলাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করত। পিকনিকের নাম করে তাদের নির্জন স্থানে নিয়ে যেত শ্রীনু।
হায়দরাবাদ: হলিউড থেকে বলিউড, সিরিয়াল কিলিং নিয়ে তৈরি হওয়া বিভিন্ন ছবি রূপোলি পর্দায় সারা ফেলে দিয়ছিল। বড় পর্দায় নৃশংস খুনের দেখেই দর্শকদের শিরদাঁড়া দিয়ে হিমস্রোত বয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বাস্তব থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই তো লেখা হয় ছবির চিত্রনাট্য। এমনই এক সিরিয়াল কিলারকে তাঁর কৃতকর্মরে সাজা শোনাল আদালত। দক্ষিণী রাজ্য তেলঙ্গানার ওই সিরিয়াল কিলার ১৭ জন মহিলাকে খুন করেছিল। তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে তেলঙ্গানার জোগুলাম্বা-গাদওয়াল জেলা আদালত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম ইয়েরুকালি শ্রীনু। ৪৭ বছর বয়সী এই ব্যক্তিকে অতিরিক্ত বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট চিট্টি আলিভেলাম্মাকে খুনের অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর ২০১৯ সালে আলিভেলাম্মাকে খুনের অভিযোগে এই সিরিয়াল কিলারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে শুধুমাত্র আলিভেলাম্মাকেই নয়, বিগত ১০ বছরে আরও ১৬ জন মহিলাকে খুন করেছিলেন এই ব্যক্তি। শ্রীনুর স্ত্রী সালাম্মাকেও চুরির অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
শ্রীনু মদের নেশায় আসক্ত ছিল, বিভিন্ন বারে গিয়ে সে মহিলাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করত। পিকনিকের নাম করে তাদের নির্জন স্থানে নিয়ে যেত শ্রীনু। সেখানে গিয়ে তাদের সঙ্গে মদ্যপানের পর নৃশংসভাবে হত্যা করত শ্রীনু। খুন করার পর তাদের গয়না চুরি করত ওই ব্যক্তি। ১৭ জন মহিলাকে হত্যার পাশাপাশি নিজের ভাইকেও খুন করেছে সে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, একাকী মহিলারাই ছিল শ্রীনুর প্রধান নিশানা।
২০০৯ সালে নিজের ভাইকে খুনের অপরাধে শ্রীনুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু ভাল ব্যবহারের জন্য ২০১৩ সালে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে একটি পেট্রোল পাম্পে চাকরি দেওয়া হয়েছিল, যেন সে অপরাধের রাস্তা থেকে সরে আসে। কিন্তু সে মদের নেশা ছেড়ে দেয়নি, বরং একের পর এক অপরাধ করতে থাকে। দায়ের হওয়া ১১ টি মামলায় শ্রীনুকে নির্দোষ ঘোষণা করা হয়েছিল। সম্প্রতি আরও দুটি মামলা তাঁকে নির্দোষ ঘোষণা করে আদালত। পুলিশ এই রায়ের বিরুদ্ধে আদালতের কাছে আবেদন করেছে। নতুন করে তদন্ত শুরু করা হতে পারে।