National interest content: দেখাতেই হবে ‘জাতীয় স্বার্থের’ বিষয়বস্তু, টিভি চ্যানেলগুলিকে নির্দেশ মোদী সরকারের

Telicasting national interest content mandatory: কিছু সময় বাদে বাদে কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় স্বার্থমূলক বিষয়বস্তু টেলিকাস্টের বিষয়ে চ্যানেলগুলির জন্য পরামর্শ জারি করবে। চ্যানেলগুলিকে সেগুলি মেনে চলতে হবে।

National interest content: দেখাতেই হবে 'জাতীয় স্বার্থের' বিষয়বস্তু, টিভি চ্যানেলগুলিকে নির্দেশ মোদী সরকারের
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 10, 2022 | 12:55 AM

নয়া দিল্লি: দেশের প্রতিটি টেলিভিশন চ্যানেলকে প্রতিদিন ৩০ মিনিটের জন্য জাতীয় স্বার্থের বা গণ পরিষেবামূলক অনুষ্ঠান পরিবেশন করতে হবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সর্বশেষ আপলিঙ্কিং এবং ডাউনলোডিং-এর নিয়মাবলীতে এমনই বলা হয়েছে। তবে, এই বাধ্যবাধকতা স্পোর্টস, ওয়াইল্ডলাইফ এবং বিদেশী চ্যানেলগুলির জন্য প্রযোজ্য হবে না। কিছু সময় বাদে বাদে কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় স্বার্থমূলক বিষয়বস্তু টেলিকাস্টের বিষয়ে চ্যানেলগুলির জন্য পরামর্শ জারি করবে। চ্যানেলগুলিকে সেগুলি মেনে চলতে হবে।

ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সচিব অপূর্ব চন্দ্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, এই বিষয়ে মন্ত্রক শীঘ্রই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করবে। তার আগে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। তবে, সমস্ত টিভি চ্যানেলের জন্য যে প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে জাতীয় স্বার্থের বিষয়বস্তু টেলিকাস্ট বাধ্যতামূলক হবে, তা সাফ জানিয়েছেন তিনি। তবে, কোনও নির্দিষ্ট সময়ে এই বিষয়বস্তু পরিবেশন করতে হবে কি না, তা এখনও ঠিক হয়নি। অপূর্ব চন্দ্র জানিয়েছেন, এই নয়া নিয়মের পদ্ধতিগত দিকগুলি নির্ধারণের কাজ চলছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সর্বশেষ আপলিঙ্কিং এবং ডাউনলোডিং-এর নিয়মাবলীতে বলা হয়েছে, এয়ারওয়েভ বা ফ্রিকোয়েন্সিগুলি জনগণের সম্পত্তি। তাই এগুলি সমাজের সর্বোত্তম স্বার্থে ব্যবহার করা প্রয়োজন। তাই এই জাতীয় স্বার্থের বা গণস্বার্থের বিষয়বস্তু সম্প্রচারের বাধ্যবাধকতা জারি করা হচ্ছে। তাই বিদেশী এবং স্পোর্টস ও ওয়াইল্ডলাইফের চ্যানেলগুলি ছাড়া, ভারতে আপলিঙ্কিং এবং ডাউনলিংকিং করার অনুমতি প্রাপ্ত সকল চ্যানেলকে প্রতিদিন ন্যূনতম ৩০ মিনিট করে জাতীয় গুরুত্ব এবং সামাজিকভাবে প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্প্রচার করতে হবে।

জাতীয় গুরুত্বের বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে শিক্ষা এবং সাক্ষরতার বিস্তার, কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, মহিলা কল্যাণ, সমাজের দুর্বল শ্রেণিগুলির কল্যাণ, পরিবেশ এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং জাতীয় সুরক্ষা।