Ban on PFI : দেশজুড়ে নিষিদ্ধ হবে PFI? মঙ্গলের অভিযানের পর বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
Ban on PFI : মঙ্গলবার দেশজুড়ে পিএফআই সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। এরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নয়া দিল্লি : দেশজুড়ে পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (PFI) ও সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অব ইন্ডিয়ার (SDPI) বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। মঙ্গলবার দেশের ৮ রাজ্যে অভিযান চালিয়ে পিএফআই-র সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপরই পিএফআই নিয়ে শীর্ষ স্তরের বৈঠকে বসেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সূত্রের খবর, এবার পিএফআই-কে ইউএপিএ আইনের আওতায় দেশজুড়ে নিষিদ্ধ করার জন্য জোরকদমে আলোচনা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এদিন এই শীর্ষ স্তরের বৈঠকের নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় কুমার ভাল্লা। এই বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন এনআইএ ডিজি, ইডির প্রধান ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্তারা। এই বৈঠকে পিএফআই-কে দেশজুড়ে নিষিদ্ধ করা হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন ১৯৬৭ এর ৩৫ নম্বর ধারার অধীনে দেশে ৪২ টি জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পিএফআই-কে নিষিদ্ধ করা হলে সেই তালিকায় আরেকটি নামও যোগ হবে। এই আইনের ৩৫ নম্বর ধারায় উল্লেখ রয়েছে, যদি কোনও সংগঠন সন্ত্রাসবাদের প্রচার করে, বিভিন্ন সন্ত্রাসবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকে তাহলে সেই সংগঠনকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে গণ্য় করা হবে। এবার সেই আইনের আওতায় ধর্মীয় সামাজিক সংগঠন পিএফআই-কে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে প্রস্তাব করতে পারে ইডি ও গোয়েন্দা সংস্থা।
গত ২২ সেপ্টেম্বর দেশুজুড়ে যৌথভাবে অভিযান চালিয়েছে ইডি-এনআইএ। সঙ্গ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের পুলিশও। তারপর থেকে একাধিক রাজ্য়ে পুলিশ, এসটিএফ বাহিনী ধরপাকড় চালিয়ে গিয়েছে। গত বৃহস্পতিবারের পর ফের মঙ্গলবার সকালে পিএফআই সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় পুলিশ, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থারা। দেশের মোট ৮ রাজ্যে এদিন অভিযান চালানো হয়। এদিনের অভিযানে কর্নাটক থেকেই গ্রেফতার করা হয় ৩০ জনকে। এদিকে দিল্লির শাহীনবাগ এলাকা থেকে শোয়েব আহমেদ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের স্পেশ্য়াল সেল টিম। মধ্য প্রদেশ থেকে পিএফআই-র ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।