Tripura TMC: ত্রিপুরায় ফের আক্রান্ত তৃণমূল, ভাঙচুর সুস্মিতা দেবের গাড়ি
Sushmita Dev : দুষ্কৃতীদের হামলায় আইপ্যাকের বেশ কয়েকজন কর্মীও জখম হয়েছে বলে খবর।
আগরতলা : ত্রিপুরায় বিপ্লব দেবের জমিতে নিজেদের পায়ের তলার মাটি আরও শক্ত করতে উঠে পড়ে লেগেছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। একের পর এক কর্মসূচি। বারবার কলকাতা থেকে আগরতলা উড়ে যাচ্ছেন বাংলার তৃণমূল নেতারা। ব্রাত্য বসু, কাকলি ঘোষ দস্তিদারদের বার বার দেখা যাচ্ছে আগরতলায়। শাসক দলের অনুগতদের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। এবার সেই আক্রান্তের তালিকায় নাম উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতাদেবের (TMC MP Sushmita Dev)। অভিযোগ, ত্রিপুরায় তাঁর গাড়ির উপর চড়াও হয় একদল দুষ্কৃতী। তৃণমূলের বক্তব্য, দুষ্কৃতীরা প্রত্যেকেই বিজেপি আশ্রিত।
ত্রিপুরার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে তৃণমূল। দলে নবাগতা সুস্মিতা দেবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিপ্লব-গড়ে তৃণমূলের সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর জন্য। আজ আইপ্যাকের কিছু কর্মীর সঙ্গে রাজনৈতিক কর্মসূচির রূপরেখা তৈরি করেছিলেন সুস্মিতা দেব। দুষ্কৃতীদের হামলায় আইপ্যাকের বেশ কয়েকজন কর্মীও জখম হয়েছে বলে খবর।
ত্রিপুরা তৃণমূলের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে হামলার একটি ভিডিয়োও শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের নির্বাচনের প্রতীক লাগানো নীল সাদা রঙের একটি গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে একদল দুষ্কৃতী। গাড়ির ছাদে একাধিক জায়গায় তুবড়ে গিয়েছে। তৃণমূলের তরফে ওই টুইটে লেখা হয়েছে, “এই বর্বরোচিত আক্রমণের যোগ্য জবাব দেবে ত্রিপুরার মানুষ। পুলিশকে অবিলম্বে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন বন্ধ করতে হবে। ত্রিপুরায় এই আইন শৃঙ্খলার অবনতি কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা বিচার চাইছি।”
People of #Tripura will give a befitting response to this BARBARIC ATTACK!
Police must immediately stop acting as mere spectators. This collapse of law and order is unacceptable. WE DEMAND JUSTICE!#ShameOnBJP pic.twitter.com/700tdmRBM8
— AITC Tripura (@AITC4Tripura) October 22, 2021
তৃণমূলের তরফে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, দুষ্কৃতীরা গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি, দলের সম্পত্তি চুরিও করছে। দলীয় সমর্থকদের একাধিক মোবাইল ফোনও চুরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই হামলার ঘটনার দ্রুত তদন্তের দাবি করেছে তৃণমূল।
উল্লেখ্য, গতকাল থেকেই ত্রিপুরায় বিশেষ কর্মসূচি চালু করেছে তৃণমূল। ত্রিপুরার ২০টি শহর, ৫৮ ব্লকের মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে তৃণমূল। জনসংযোগে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে ঘাসফুল শিবির। ত্রিপুরার সাধারন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করাই হবে তাদের মূল উদ্দেশ্য। গতকাল এই ঘোষণা করার সময় সুস্মিতা দেব জানিয়েছিলেন, তাঁরা মানুষকে এটাই বোঝাবেন যে কেন তৃণমূলকে সমর্থন করা প্রয়োজন। বিপ্লব দেব যে ভাবে অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে বাধা দিচ্ছেন তা যে মোটেই কোনও গণতান্ত্রিক কাজ হতে পারে না, সেটাই বোঝাতে যাবেন তাঁরা। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরার মানুষকে যে বার্তা দিতে চান সেটাও পৌঁছে দেওয়া হবে। আলাদা আলাদা টিম ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে। টিমের সদস্যরা পৌঁছে যাবেন ৮ টি জেলার ৫৮ টি ব্লকে।
আরও পড়ুন: TMC in Tripura: ‘কেন সমর্থন করবেন’, বোঝাতেই এবার দরজায় দরজায় পৌঁছে যাবে তৃণমূল