Tripura School Reopen: আর গৃহবন্দি নয়, চলতি সপ্তাহ থেকেই স্কুলে ফিরছে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়ারাও

রাজ্য সরকারের তরফে স্কুল খোলার অন্যতম কারণ হিসাবে জানানো হয়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ থাকায় পড়ুয়াদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পড়াশোনার ক্ষতির পাশাপাশি মানসিক বিকাশেও এর প্রভাব পড়েছে।

Tripura School Reopen: আর গৃহবন্দি নয়, চলতি সপ্তাহ থেকেই স্কুলে ফিরছে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়ারাও
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 12, 2021 | 8:22 PM

আগরতলা: করোনার কাঁটা দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে কার্যত গৃহবন্দি হয়েছিল শিশুরা। অবশেষে স্কুল খুলছে ত্রিপুরায় (Tripura)। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ত্রিপুরায় প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির পঠনপাঠন শুরু হচ্ছে। গত মাস থেকেই ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের স্কুলে আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এ বার প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াদেরও স্কুলে আসার অনুমতি দেওয়া হল।

ত্রিপুরা স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, রাজ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় স্কুল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে রাজ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৬৬৭। করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হারও কমে দাঁড়িয়েছে ০.৯৬ শতাংশে। তবে পড়ুয়াদের স্কুলে আসার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের লিখিত সম্মতি অন্যতম শর্ত হিসাবে রাখা হয়েছে।

গত ২৫ অগস্ট থেকেই ত্রিপুরায় ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের স্কুলে আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ওই দিন থেকেই সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুল, মাদ্রাসা সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে স্কুলে পড়ুয়াদের বসার ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত পড়ুয়াদের থার্মাল স্ক্রিনিং, স্কুল বিল্ডিংয়ের স্যানিটাইজেশনের মতো সমস্ত করোনা বিধি অনুসরণ করা হয়, সেই দিকটিও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

রাজ্য সরকারের তরফে স্কুল খোলার অন্যতম কারণ হিসাবে জানানো হয়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ থাকায় পড়ুয়াদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পড়াশোনার ক্ষতির পাশাপাশি মানসিক বিকাশেও এর প্রভাব পড়েছে। তাই রাজ্য়ে সংক্রমণের হার কিছুটা কমতেই স্কুল  খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে স্কুলছুট পড়ুয়াদের চিহ্নিত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। নতুন দিশা নামক প্রকল্পের অধীনে একটি নতুন কর্মসূচিও শুরু করা হয়েছে। পড়ুয়াদের স্কুলে ফেরাতে মিড-ডে মিলের ব্যবস্থাও চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে সংক্রমণ রুখতে ভাগে ভাগে পড়ুয়াদের খাবারের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে চলতি বছরেই জুন মাসে মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়। তার বদলে রাজ্যের অনুকরণেই কেবল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির উপরই পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে শেষ অবধি সেই সিদ্ধান্তও বাতিল করে ১০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটির অ্যাসেসমেন্টের ভিত্তিতেই দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফল তৈরি করা হয়।
অগস্ট মাসের শুরুতেই দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফল প্রকাশ করা হয়। দশম শ্রেণিতে ৮০ শতাংশ পড়ুয়া ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ৯৫.২০ শতাংশ পড়ুয়া উত্তীর্ণ হয়। তবে পড়ুয়ারা এই ফলে সন্তুষ্ট না হওয়ায় তারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বাধ্য হয়ে ফলাফল পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।