ধোপে টিকল না ভিডিয়োকলে জিজ্ঞাসাবাদের আর্জি, লোনিতেই হাজিরা দিতে যাচ্ছেন টুইটার অধিকর্তা

গাজিয়াবাদে এক মুসলিম বৃদ্ধকে নিগ্রহের ঘটনায় বিতর্কিত ভিডিয়ো ডিলিট করার নির্দেশ দেওয়ার পরও টুইটার কর্তৃপক্ষ তা অনুসরণ না করায়, তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়।

ধোপে টিকল না ভিডিয়োকলে জিজ্ঞাসাবাদের আর্জি, লোনিতেই হাজিরা দিতে যাচ্ছেন টুইটার অধিকর্তা
মনীশ মহেশ্বরী। ছবি: ফেসবুক।
Follow Us:
| Updated on: Jun 24, 2021 | 12:39 PM

নয়া দিল্লি: ভিডিয়ো কলে নয়, গাজিয়াবাদে কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সশরীরেই টুইটারের ভারতের অধিকর্তাকে হাজিরা দিতে হবে, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল উত্তর প্রদেশ পুলিশ। সেই নিয়ম মেনেই এ দিন উত্তর প্রদেশের সীমান্তবর্তী লোনি থানায় হাজিরা দিতে পারেন টুইটার অধিকর্তা মনীশ মহেশ্বরী, এমনটাই সূত্রের খবর।

গাজিয়াবাদে এক মুসলিম বৃদ্ধকে নিগ্রহের ঘটনা ঘিরেই বিতর্কের শুরু। ভাইরাল একটি ভিডিয়োয় কয়েকজন যুবককে ওই বৃদ্ধকে মারধর করা এবং তাঁর দাড়ি কেটে নিতে দেখা যায়। এরপরই আব্দুল সামাদ নামক ওই বৃদ্ধ দাবি করেন যে তাঁকে জোর করে জয় শ্রী রাম ও বন্দে মাতরম বলানো হয়েছে। তবে উত্তর প্রদেশ পুলিশ তদন্তে নেমে জানায় যে, এর সঙ্গে সাম্প্রদায়িক কোনও যোগ নেই। নকল তাবিজ বিক্রি করেছিলেন বলেই ওই বৃদ্ধকে মারধর করেছিল অভিযুক্ত যুবকরা। এরপরই ভুয়ো ও বিকৃত তথ্য পরিবেশনের অভিযোগে কয়েকজন সাংবাদিক, কংগ্রেস নেতা সহ টুইটারের বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করা হয়। কেন্দ্রের নয়া তথ্য প্রযুক্তি আইন অনুসরণ না করায় সে দিনই আইনি সুরক্ষাও হারায় টুইটার।

টুইটার কর্তৃপক্ষকে ওই ঘটনা সম্পর্কিত টুইট ও ভিডিয়োগুলি সরিয়ে ফেলতে বলা হলেও তা অনুসরণ না করায় ভারতে টুইটারের অধিকর্তা মনীশ মহেশ্বরীকে আইনি নোটিস পাঠানো হয়। তাঁকে উত্তর প্রদেশের লোনি থানায় হাজির হতে বলা হয়। কিন্তু সোমবারই মনীশ মহেশ্বরী জানান, উত্তর প্রদেশে যাওয়ার বদলে তিনি ভিডিয়ো কলে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি। কিন্তু তাঁকে সশরীরে উপস্থিত হওয়ার জন্যই ফের সমন পাঠানো হয়। একইসঙ্গে টুইটারের সদ্য নিয়োগ করা গ্রিভিয়েন্স অফিসার ধর্মেন্দ্র চতুরকেও হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।

অন্যদিকে, ওই বৃদ্ধের পরিবারের তরফে উত্তর প্রদেশ পুলিশের দাবিকে ভুয়ো বলা হয়েছে। নিগৃহীত আব্দুল সামাদের ছেলে বাবলু সইফি বলেন,  “পুলিশ সম্পূর্ণ ভুল কথা বলছে যে আমার বাবা তাবিজ বিক্রি করত। আমাদের পরিবারের কেউই তাবিজ বিক্রি করে না, সকলেই কাঠের কাজের সঙ্গে যুক্ত। গোটা ঘটনার সঠিক তদন্ত হওয়া উচিত।”