চিনের পর ‘লে’ জম্মু কাশ্মীরের অন্তর্গত! টুইটারের কাছে ব্যাখ্যা চাইল সরকার

ইতিমধ্যেই টুইটারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, দেশের নাগরিককে পরিষেবা দিতে কেন্দ্রীয় তথ্য় প্রযুক্তি মন্ত্রকের সঙ্গে কাজ করতে দায়বদ্ধ তারা।

চিনের পর 'লে' জম্মু কাশ্মীরের অন্তর্গত! টুইটারের কাছে ব্যাখ্যা চাইল সরকার
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Nov 12, 2020 | 2:29 PM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: লাদাখ (Ladakh) ভারতের একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। তার বৃহত্তম জেলা হল লে (Leh)। কিন্তু টুইটারে ‘লে’-কে জম্মু ও কাশ্মীরের অংশ হিসাবে দেখানো হচ্ছে। তাই টুইটারের কাছে ৫ দিনে মধ্যে জবাবদিহি চাইল ভারত সরকার।

‘লে’-কে জম্মু ও কাশ্মীরের অংশ হিসাবে দেখানো ভারতের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের একটি পদক্ষেপ। তাই জ্যাক ডোরসের টুইটারকে একটি নোটিস পাঠিয়ে ৫ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা চাইল ভারত সরকার। টুইটারকে উত্তর দিতে হবে কেন সংস্থা সেই ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি যারা টুইটারে ভারতের ভুল মানচিত্র পোস্ট করে দেশের সার্বভৌমত্বের অবমাননা করেছে।

ভারতীয় সংসদে মঞ্জুর হওয়ার পর লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে। যার সদর দফতর লে। সেই ‘লে’-কে জম্মু ও কাশ্মীরের অন্তর্গত দেখানো ভারতের সংসদের অপমান। কয়েক দিন আগে ‘লে’-কে চিনের অংশ হিসাবে দেখিয়ে ছিল টুইটার। তখন তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের সচিব জ্যাক ডোরসেকে চিঠি দিয়ে সংশোধনের কথা জানিয়ে ছিলেন। তখন সংশোধন করেছিল টুইটার। কিন্তু ফের ‘লে’-কে জম্মু কাশ্মীরের অন্তর্গত দেখাচ্ছে ডোরসের সোশ্যাল মিডিয়া।

আরও পড়ুন: আমরা ক্লান্ত, কিন্তু করোনা ক্লান্ত নয়! আরও বেশি করে সতর্ক হওয়ার বার্তা দিলেন হু প্রধান

যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টুইটার সন্তোষজনক প্রতিক্রিয়া না দেয়, তাহলে সরকারের হাতে একাধিক পথ খোলা আছে। সরকার চাইলে টুইটারের বিরুদ্ধে পুলিসি পদক্ষেপ করতে পারে। যার মাধ্যমে অভিযুক্তের ৬ মাসের জেল হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি টুইটারকে ব্লক করার পথে হাঁটতে পারে মোদী সরকার। ইতিমধ্যেই টুইটারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, দেশের নাগরিককে পরিষেবা দিতে কেন্দ্রীয় তথ্য় প্রযুক্তি মন্ত্রকের সঙ্গে কাজ করতে দায়বদ্ধ তারা। সরকারকে চিঠির যথাযথ জবাব দেওয়া হয়েছে এবং ভৌগলিক অবস্থান সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে অবগত করা হয়েছে।