Amit Shah: কোন পথে হবে মাদক-মুক্ত ভারত? তৈরি হল ‘শাহী’ রুটম্যাপ
Drug Free India Campaign: ভারতে ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ১ হাজার ৮৮১ কোটি টাকার নিষিদ্ধ মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
নয়া দিল্লি : মাদকমুক্ত ভারত গড়তে উদ্যোগী কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার দিল্লিতে নারকো কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের (NCORD) তৃতীয় অ্যাপেক্স স্তরের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ (Union Home Minister Amit Shah)। বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল, ভারতকে কীভাবে মাদকমুক্ত করা যায়, তার একটি রূপরেখা বা নীল নকশা তৈরি করা। একইসঙ্গে মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে দেশের জিরো টলারেন্স নীতিও স্পষ্ট করা হয়।
মাদক মুক্ত ভারত গড়তে চাই আরও বেশি সমন্বয়
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, “মোদী সরকার মাদকের অপব্যবহারকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ভয়ঙ্কর বলে মনে করে। একমাত্র সামগ্রিকভাবে সবাই একজোট হয়েই এই সমস্যার মোকাবিলা করা যেতে পারে।” অমিত শাহের মতে মাদক অপরাধের কোন দেশ-কালের সীমানা নেই। এটিকে একটি ‘সীমান্তহীন অপরাধ’ বলে মনে করেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, মাদক আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মধ্যে এবং কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে আরও ভাল সমন্বয়ের মাধ্যমেই এই অপরাধ বন্ধ করা যাবে।”
তিন বছরে বাজেয়াপ্ত ১,৮৮১ কোটি টাকার মাদক
উল্লেখ্য, ভারতে ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ১ হাজার ৮৮১ কোটি টাকার নিষিদ্ধ মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে যে পরিমাণ মাদক আটক করা হয়েছিল, তার ভারতীয় মুদ্রায় বাজার দর ছিল ৬০৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ, সাম্প্রতিক হিসেব ২০১১-২০১৪ সালের তুলনায় তিন গুণ।
২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে দেশের মাদক দমন সংস্থা এনসিবি প্রায় ৩৫ লাখ কেজি মাদক বাজেয়াপ্ত করেছে। ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে বাজেয়াপ্ত হওয়া মাদকের পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ কেজি।
রাজ্য পুলিশের অধীনে টাস্ক ফোর্স
সমস্ত রাজ্যে পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেলের অধীনে তৈরি করতে হবে ডেডিকেটেড অ্যান্টি নারকোটিক্স টাস্ক ফোর্স (ANTF)। এগুলি রাজ্য এনসিওআরডি-র সচিবালয় হিসাবে কাজ করবে। এনসিবির অধীনে একটি কেন্দ্রীয় এনসিওআরডি ইউনিট গঠন করা হবে। জাতীয় পর্যায়ে একটি নারকোটিকস প্রশিক্ষণ মডিউল প্রস্তুত করতে হবে যাতে পুলিশ, সিএপিএফ কর্মী, আইনজীবী এবং সরকারি দফতরের লোকদের সেই অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়।
প্রয়োজন স্থায়ী আন্তঃমন্ত্রক কমিটি
যে রাসায়নিকগুলি অন্যান্য কাজের পাশাপাশি মাদক হিসেবেও অপব্যবহার হয়ে থাকে, সেগুলির অপব্যবহার রোধ করার জন্য একটি স্থায়ী আন্তঃমন্ত্রক কমিটি গঠন করা হবে। সেই সঙ্গে যে প্রেসক্রিপশন সাপেক্ষ ওষুধের মাদক হিসেবে অপব্যবহার হয়, সেগুলি বন্ধ করতে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের অধীনে একটি স্থায়ী আন্তঃমন্ত্রক কমিটি গঠন করা হবে। সমস্ত উপকূলীয় রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে।
বন্দরগুলিতে বসানো হবে কনটেইনার স্ক্যানার
সরকারি হোক বা বেসরকারি, সমস্ত বন্দরে যে সব কনটেইনার আসছে বা যাচ্ছে, সেগুলি স্ক্যান করার জন্য কনটেইনার স্ক্যানার এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। জাতীয় পর্যায়ে একটি নারকো-ক্যানাইন পুল তৈরি করতে হবে। রাজ্য পুলিশকেও ক্যানাইন স্কোয়াডের সুবিধা দেওয়া উচিত। একটি জাতীয় স্তরে মাদক দমন সংক্রান্ত কল সেন্টার, ‘মানস’ চালু করা হবে।