Murder Case: বিয়ে করতে চাওয়া প্রেমিকাকে মেরে বাড়ির মেঝেতে পুঁতেছিল প্রেমিক! উদ্ধার ২ বছর পর

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৫ বছরের গৌরব সিংয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই গ্রামেরই ১৬ বছরের এক নাবালিকার। বাইক শেখাতে গিয়ে ওই নাবালিকার প্রেমে পড়েন ওই যুবক।

Murder Case: বিয়ে করতে চাওয়া প্রেমিকাকে মেরে বাড়ির মেঝেতে পুঁতেছিল প্রেমিক! উদ্ধার ২ বছর পর
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 10, 2022 | 7:21 PM

ফিরোজাবাদ: গ্রামের এক নাবালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এক যুবকের। বিয়ে করার জন্য এই যুবককে চাপ দিয়েছিল ওই নাবালিকা। এর পরই একটি বাড়িতে ডেকে নাবালিকাকে খুন করে বাড়ির নীচে পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিক ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে।  পুলিশ। ঘটনার ২ বছর পর ওই নাবালিকার দেহের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। নাবালিকা খুনের অভিযুক্ত প্রেমিক ও তাঁর পরিবারের লোককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত এবং নির্যাতিতার বাড়ি একই পাড়াতেই। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের ফিরোজাবাদের একটি গ্রামে। ২ বছর আগেই ঘটনা নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছিল নাবালিকার পরিবার। প্রায় ২ বছরের মাথায় রহস্য ভেদ করতে সমর্থ হল পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৫ বছরের গৌরব সিংয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই গ্রামেরই ১৬ বছরের এক নাবালিকার। বাইক শেখাতে গিয়ে ওই নাবালিকার প্রেমে পড়েন ওই যুবক। তার পর ওই নাবালিকা বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন অভিযুক্ত যুবক। কিন্তু তাঁর পরিবার এই বিয়ে দিতে রাজি ছিলেন না। ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর ওই নাবালিকাকে খুনের পরিকল্পনা করে গৌরব ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। সেই মতো নাবালিকাকে বাড়িতে ডাকে ওই যুবক। এর পর নাবালিকাকে খুন করে পুঁতে দেওয়া হয় বাড়ির নীচে। ঘটনার ২ দিন পর থানায় নিখোঁজের মামলা করেন নাবালিকার মা। সিরসাগঞ্জ থানায় দায়ের করা হয়েছিল সেই অভিযোগ।

কিন্তু ঘটনার প্রায় ২ বছর হতে চললেও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। সম্প্রতি ফিরোজাবাদের পুলিশ সুপার আশিস তিওয়ারি দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দেন। এর পরই শনিবার অভিযুক্ত গৌরব ও তাঁর বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেরার মুখে অভিযুক্তরা খুনের কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই বাড়ি থেকে পালিয়েছিল অভিযুক্ত যুবক ও তাঁর বাবা-ভাই। উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা এবং দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকের কাজ করছিল তারা। এবং ঘন ঘন নিজেদের কাজের জায়গা বদলে ফেলত অভিযুক্তরা। পুলিশ জানিয়েছে, এর আগে একাধিক বার অভিযুক্তদের ধরার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সফল হয়নি পুলিশ। এ বার পুলিশের জালে ধরা পড়ল প্রেমিকা খুনে অভিযুক্ত।