Pit Bull Attack: কামড়ে তুলে নিল পেটের মাংস! ছেলের পোষা কুকুর ছিঁড়ে খেল ৮২ বছরের বৃদ্ধাকে

Lucknow Pit Bull Attack: রোজ নিজের হাতেই খাওয়াতেন, মঙ্গলবার সকালে লখনউ-এর কায়সারবাগ এলাকায় পোষা পিট বুল কুকুরের হামলায় প্রাণ হারালেন ৮২ বছর বয়সী এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা।

Pit Bull Attack: কামড়ে তুলে নিল পেটের মাংস! ছেলের পোষা কুকুর ছিঁড়ে খেল ৮২ বছরের বৃদ্ধাকে
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 13, 2022 | 4:02 PM

লখনউ: ৮২ বছর বয়সী একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকাকে ছিঁড়ে খেল তাঁর ছেলের পোষা কুকুর! চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে, উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনউ-এর কায়সারবাগ এলাকায়। জানা গিয়েছে, ঘটনার সময়ে ওই মহিলা বাড়িতে একাই ছিলেন। পরে তাঁর ছেলে বাড়ি ফিরে দেখেন, রক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘর। আর তার মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে আছেন তাঁর মা। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের তাঁর মৃত্যু হয়। পোষা কুকুরটি ‘পিট বুল’ প্রজাতির। অত্যন্ত হিংস্র বলে বিশ্বের অনেক দেশেই এই প্রজাতির কুকুর পোষা নিষিদ্ধ। কিন্তু, এই ক্ষেত্রে কেন কুকুরটি ওই মহিলাকে আক্রমণ করল, তা এখনও জানা বা বোঝা যায়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতা অবসরপ্রাপ্ত ওই শিক্ষিকার নাম সুশীলা ত্রিপাঠী। তাঁর স্বামী আগেই মারা গিয়েছেন। ছেলের সঙ্গে কাইসারবাগের বাঙালিটোলা এলাকায় থাকতেন তিনি। তাঁদের দুটি পোষা কুকুর রয়েছে – একটি পিট বুল এবং একটি ল্যাব্রাডর। সুশীলার ছেলে অমিতের বয়স ২৫ বছর, তিনি পেশায় একজন জিম প্রশিক্ষক। কাপুরথালার একটি জিমনেশিয়ামে কাজ করেন। প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো এদিনও ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তিনি জিমে গিয়েছিলেন। আধঘন্টা পরই তাঁরা কুকুরের ঘেউ ঘেউ ডাক শুনতে পেয়েছিলেন। সেই সঙ্গে ওই সুশীলা সাহায্যের জন্য চিৎকার করছিলেন বলে দাবি করেছেন প্রতিবেশীরা।

প্রতিবেশীদের একজন জানিয়েছেন, ‘আন্টিকে সাহায্যের জন্য চিৎকার করছিলেন। আমরা ওঁদের বাড়ির সামনে ছুটে গিয়েছিলাম। কিন্তু দরজা ভিতরে থেকে বন্ধ ছিল। আন্টিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেছিলাম। কিন্তু, চেষ্টা করেও দরজা খুলতে পারিনি। আমরা অবিলম্বে তাঁর ছেলেকে খবর দিই।’ সেই সময় সুশীলার কাছে পিট বুল কুকুরটিকেই দেখতে পেয়েছিলেন তাঁরা। প্রতিদিনই ওই সময় তিনি কুকুরদুটিকে খাবার দিতেন বলে জানা গিয়েছে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, এরপর অমিত দ্রুত বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। সকলে মিলে ওই মহিলাকে একটি মোটরবাইকে করে বলরামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে কেজিএমইউ ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয় তাঁকে।

ওই ট্রমা সেন্টারের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মহিলার ঘাড়, হাত, পিঠ ও পায়ে অন্তত ১২টি গভীর ক্ষত ছিল। এমনকি, কুকুরটি দাঁত দিয়ে তাঁর পেটের মাংস ছিঁড়ে নিয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। চিকিৎসকদের মতে, ক্ষতচিহ্নগুলি থেকে স্পষ্ট যে তিনি (সুশীলা) যতই পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, পিটবুল কুকুরটি তত বেশি বেশি আক্রমণ করেছিল। হাসপাতালে আনার পর, সবরকম চেষ্টা করেও ক্ষত থেকে রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে পারেননি চিকিৎসকরা। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সুশীলা।

এদিকে এই ঘটনায় ওই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের, সকলেই তাদের পছন্দ করেন। সুশীলা তো পোষ্যদুটির খুবই যত্ন নিতেন। নিজের সন্তানের মতো আদর করতেন। তবে,  কুকুরের জন্য এসি লাগানো দুটি আলাদা ঘর ছিল। এদিন কী কারণে পিট বুলটির মেজাজ বিগড়ে গেল, তা এখন রহস্য। অবশ্য পিট বুল প্রজাতিকে অন্যতম হিংস্র শিকারী কুকুর বলেই গণ্য করা হয়। বিশ্বের ৪১টি দেশে এই প্রজাতির কুকুর পোষা নিষিদ্ধ।