Viral Video of Monkey: কোলে একরত্তি, ক্লিনিকে এসে বাঁদর দেখাল ক্ষতস্থান, পেল চিকিৎসাও! দেখুন ভিডিয়ো
Viral Video of Monkey: এসএম আহমেদ নামক ওই চিকিৎসক, যিনি বাঁদরটির শুশ্রষা করেছিলেন, তিনি জানান যে নিজেকে ধন্য মনে করছেন যে বাঁদরটির চিকিৎসা করার সুযোগ পেয়েছেন।
পটনা: ইন্টারনেটে ভাইরাল ভিডিয়োর ক্ষেত্রে সর্বদাই জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকে বাঁদরের বাঁদরামি। কখনও চুরি, কখনও আবার ছিনতাই, এভাবেই বাদর নিজের বাঁদরামির প্রমাণ দেয়। আমাদের পূর্বপুরুষ ছিল বানর। যুগের বিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরাও ধীরে ধীরে মানুষে পরিণত হয়েছি। তবে বর্তমান যুগে একাধিক ঘটনা প্রমাণ দেয় যে, শুধুমাত্র আমাদেরই বিবর্তন নয়, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন হয়েছে বাঁদর-হনুমানেরও। এমনই প্রমাণ দিল বিহারের ঘটনা। ক্ষতস্থানে মলম লাগাতে সন্তানকে পিঠে চাপিয়ে সোজা হাজির হল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই বাঁদরের কীর্তি।
বিহারের সাসারামে ঘটেছে এই ঘটনাটি। রোহতাসের জেলা সদর দফতরেই সন্তানকে পিঠে নিয়ে হাজির হয় এক বাঁদর। সোজা চিকিৎসকের কাছে এসে বসে সেই বাঁদর। কাউকে বিরক্ত না করেই সে বুঝিয়ে দেয় যে ক্ষতস্থানের চিকিৎসা প্রয়োজন। সকলে আশ্চর্য হয়ে গেলেও চিকিৎসক নিজের দায়িত্ব পূরণ করেন, শুশ্রষা করেন ওই বাঁদরের।
৪৫ সেকেন্ডের ওই ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা যায়, বাঁদরটি সোজা ক্লিনিকে ঢুকে পড়ে। প্রথমে সে একটি টুলের উপরে বসে। পরে চিকিৎসককে শুশ্রষার জন্য ব্যান্ডেজ তৈরি করতে দেখেই সে বেডে শুয়ে পড়ে। চিকিৎসা চলাকালীনও সম্পূর্ণ শান্তশিষ্ঠ হয়ে বসে থাকে সে।
बिहार के रोहतास में एक घायल बंदरिया खुद ही क्लिनिक पहुंची, इलाज करवाया और फिर बेड पर लेट कर थोड़ी देर आराम भी किया. इस दौरान वो अपने छोटे बच्चे भी को साथ लिए रही.#Bihar #ViralVideo #Femalemonkey #Monkey pic.twitter.com/Aj3XaWztup
— Anjani Sharma (@AnjaniSharma_1) June 8, 2022
এসএম আহমেদ নামক ওই চিকিৎসক, যিনি বাঁদরটির শুশ্রষা করেছিলেন, তিনি জানান যে নিজেকে ধন্য মনে করছেন যে বাঁদরটির চিকিৎসা করার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি বলেন, “সাসারামের শাহজুমায় আমার ক্লিনিকে হঠাৎ একটি বাঁদর তার সন্তানকে নিয়ে হাজির হয়। বাচ্চাটি তাঁর মাকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাঁদরটি এসে চুপচাপ বেডে বসে এবং নিজের ক্ষতস্থানটি দেখায়। প্রথমে একটু ঘাবড়ে গেলেও পরে ওই ক্ষতস্থানে “ওষুধ লাগিয়ে দিই।”
ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন বাঁদরটির মাথায় আঘাত ছিল। তাঁর শিশুটিও আহত ছিল, পায়ে চোট ছিল। দুজনেরই ক্ষতস্থানে ওষুধ লাগিয়ে দেন তিনি এবং ক্ষতস্থানে সংক্রমণ যাতে না হয়ে যায়, তার জন্য টিটেনাস ইঞ্জেকশনও দেন। এদিকে ততক্ষণে বাঁদরের এই কীর্তি দেখতে ক্লিনিকে ভিড় জমান প্রচুর লোক। বাঁদরের এই বিচক্ষণতায় মুগ্ধ হয়েছেন নেটাগরিকরাও।