Post Poll Violence: ‘এটা কি বিজেপি তদন্তকারী কমিটি?’ হিংসা মামলায় শীর্ষ আদালতে সওয়াল রাজ্যের

Post Poll Violence: কপিল সিব্বল আদালতে বলেন, "মাই লর্ড এটা কি বিজেপি তদন্তকারী কমিটি? আপানারা ভাবতে পারছেন এই মানুষগুলিকে তথ্য সংগ্রহের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে!"

Post Poll Violence: 'এটা কি বিজেপি তদন্তকারী কমিটি?' হিংসা মামলায় শীর্ষ আদালতে সওয়াল রাজ্যের
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 14, 2021 | 12:02 AM

নয়া দিল্লি: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই ভোট পরবর্তী হিংসায় (Post Poll Violence) প্রভাবিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। কিন্তু সেই কমিশনকেই এ বার ‘বিজেপি তদন্তকারী কমিটি’ বলে দেগে রাজ্য সরকার (WB Govt)। তাও কিনা খোদ সুপ্রিম কোর্টে!

ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন ও ধর্ষণের মামলাগুলির তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন সোমবার রাজ্যের পক্ষ থেকে মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব নিয়ে সওয়াল তোলা হয়। কমিশনের সদস্যদের রাজনৈতিক পরিচয়ের বিষয়টি তুলে ধরে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বল আদালতে বলেন, “মাই লর্ড এটা কি বিজেপি তদন্তকারী কমিটি? আপানারা ভাবতে পারছেন এই মানুষগুলিকে তথ্য সংগ্রহের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে!”

হিংসার মামলায় বিশেষ তদন্তকারী প্যানেলেরও কোনও প্রয়োজন নেই বলে শীর্ষ আদালতের সামনে দাবি করেছেন সিব্বল। তাঁর বক্তব্য, ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনাগুলির জন্য তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই রয়েছে। এবং অন্যান্য হিংসার ঘটনার জন্য সিট গঠন করা হয়েছে। যা নিয়ে পাল্টা বিচারপতি বিনীত শরন এবং অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চ পাল্টা প্রশ্ন করে, “কোনও ব্যক্তির যদি রাজনৈতিক অতীত থাকে এবং তিনি একটি সরকারি জায়গায় এসে বসেন, তাহলেই কি আমাদের ধরে নিতে হবে যে তিনি রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট?”

আদালতের প্রশ্ন শুনে সিব্বল পাল্টা যুক্তি দেন, সংশ্লিষ্ট সদস্যরা এখনও নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে বিজেপি সম্পর্কিত বিষয়বস্তু পোস্ট করছেন। পাশাপাশি প্রশ্ন তোলেন, মানবাধিকার কমিশনের কমিটি এই ধরনের ব্যক্তিদের কী ভাবে এমন পদে বসাতে পারে? এই নিয়ে রাজ্য আদলতের একটি অন্তর্বর্তী নির্দেশের আবেদন জানালে বিচারপতিদ্বয় বলেন, তাঁরা আগামী সোমবার মামলাটি ফের শুনবেন। একই সঙ্গে আদালত জানায়, কমিটির যে সদস্যদের নিয়ে রাজ্য সরকারের সমস্যা রয়েছে, তাদের বিস্তারিত নাম-সহ তথ্য যেন রাজ্য সরকার পেশ করে।

আরও পড়ুন: Priyanka Tibrewal: মনোনয়নের আগেই ভাইকে হারালেন প্রিয়াঙ্কা, ‘বড় দাদা’র মতো আগলে রাখলেন শুভেন্দু

প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় আগাগোড়াই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তে আপত্তি তুলেছিল রাজ্য়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে ওঠে রাজ্য সরকারের জন্য। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন নিজের রিপোর্টে উল্লেখ করে, এ রাজ্যে আইনের শাসন নেই, শাসকের আইন রয়েছে। যা তীব্র অস্বস্তির মধ্যে ফেলে রাজ্যকে। হাইকোর্ট যখন খুন ও ধর্ষণ মামলার তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দেয়, তখন অস্বস্তি আরও বাড়ে রাজ্য সরকারের। তবে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তের থেকেও মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টই যেন গলার কাঁটা হয়ে ফুটছে। যে কারণে গোটা মামলায় হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে হাজির হয় রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন: Bhabanipur By-Election: একবালপুরের মসজিদে ইমামদের সঙ্গে বৈঠক মমতার, সঙ্গে গেলেন ফিরহাদও