GST: “ঋণ নিয়ে ঋণ দিক কেন্দ্র” কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে চিঠিতে কী লিখলেন অমিত মিত্র

TV9 বাংলা ডিজিটাল: জিএসটি (GST) নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য দ্বন্দ্ব জারি। এবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক ডাকার দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে (Nirmala Sitharaman) চিঠি লিখলেন অমিত মিত্র (Amit Mitra)। করোনার জেরে অতিমারী পরিস্থিতি আর আমফানে রাজ্যের বেহার দশার কথা মনে করিয়ে দিয়ে চিঠিতে অমিত মিত্র লেখেন, ” বর্তমান অর্থনীতির করুণ অবস্থার কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রের প্রস্তাবে […]

GST:  ঋণ নিয়ে ঋণ দিক কেন্দ্র কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে চিঠিতে কী লিখলেন অমিত মিত্র
GST: ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 21, 2020 | 11:52 AM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: জিএসটি (GST) নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য দ্বন্দ্ব জারি। এবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক ডাকার দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে (Nirmala Sitharaman) চিঠি লিখলেন অমিত মিত্র (Amit Mitra)।

করোনার জেরে অতিমারী পরিস্থিতি আর আমফানে রাজ্যের বেহার দশার কথা মনে করিয়ে দিয়ে চিঠিতে অমিত মিত্র লেখেন, ” বর্তমান অর্থনীতির করুণ অবস্থার কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রের প্রস্তাবে রাজি রাজ্য।” করোনার জেরে জিএসটি থেকে রাজ্যগুলির চলতি বছরের যে পরিমাণ আয় কম হবে, তার পুরোটাই কেন্দ্র নিজে ঋণ নিয়ে রাজ্যকে যাতে ঋণ দেয়, সেই দাবি তোলেন অমিত মিত্র।

চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, কেন্দ্র ৫ শতাংশের কম সুদে ঋণ পায়। কিন্তু রাজ্যের ক্ষেত্রেই সেটা ৬.৮ শতাংশ সুদ দিতে হয়। সুদে-আসলে মিলে তা যথেষ্টই বেশি। এই অতিমারী পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলির অর্থনৈতিক অবস্থা বেহাল। আয় কমে যাওয়ার চলতি অর্থ বছরে রাজ্যগুলির প্রায় ১.৮২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দরকার পড়ত। এর মধ্যে কেন্দ্র ১.১০ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে রাজ্যকে ঋণ দেবে। বাকি টাকা রাজ্যকে অন্য জায়গা থেকে ঋণ নিতে হবে। বাকি ৭২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিতেই চাপে পড়বে রাজ্য। এই সমস্যা মেটাতে কেন্দ্রকেই তত্পর হওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য ২০২০-২১ সালের জিএসটি সংগ্রহের ঘাটতি মেটাতে কেন্দ্র একটি বিশেষ ঋণের উইন্ডো তৈরি করেছে।

২১টি রাজ্য এবং ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জিএসটি কমপেনসেশনের জন্য অর্থমন্ত্রকের ব্যাক-টু-ব্যাক ঋণের এই বিশেষ উইন্ডোর সুবিধা নেবে। যদিও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়ে দেন এর মধ্যে পাঁচটি রাজ্যের জিএসটি কমপেনসেশন খাতে কোনও ঘাটতি নেই। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাও। সেই অসন্তোষ থেকেই অমিত মিত্রের এমন চিঠি বলে মত বিশেষজ্ঞদের।