Elon Musk: ভারতের কারখানা গড়তে কেন আপত্তি টেসলা কর্তা ইলন মাস্কের?

Atmanirvar Bharat: আত্মনির্ভর ভারতের মাধ্যমে বিভিন্ন শিল্পে দেশীয় প্রযুক্তিকে শিল্পের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। বিদেশি সংস্থাকেও ভারতে কারখানা করে যন্ত্রাংশ তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্র।

Elon Musk: ভারতের কারখানা গড়তে কেন আপত্তি টেসলা কর্তা ইলন মাস্কের?
টেসলা গাড়িতে ইলোন মাস্ক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 20, 2022 | 7:09 PM

নয়াদিল্লি: কোটিপতিদের তালিকায় বিশ্বে প্রথম স্থানে রয়েছেন ইলন মাস্ক। তাঁর সংস্থা টেসলা তৈরি করে অত্যাধুনিক ইলেকট্রিক গাড়ি। কিন্তু ভারতে টেসলার ব্যবসা এখনও সে ভাবে ডালপালা মেলতে পারেনি। এ দেশে কোনও কারখানা এখনও তৈরি করেননি তিনি। সরাসরি এ নিয়ে হয়তো কোনও পক্ষই মুখ খোলেননি, কিন্তু বিগত দিনে বিভিন্ন সময়ে দুপক্ষের তরফ থেকে উঠে আসা বক্তব্য থেকে এ বিষয়ে একটি ধারণা তৈরি হয়েছে। টিভি৯ নেটওয়ার্কের ‘হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে গ্লোবাল সামিট’-এ উপস্থিত ছিলেন ভারীশিল্প সংক্রান্তে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মহেন্দ্রনাথ পাণ্ডে। ইলেকট্রিক গাড়ি নিয়ে সরকারের লক্ষ্য তিনি জানিয়েছেন সেই সামিটে। যে বিষয়ে তিনি জোর দিয়েছেন, তা টেসলা কর্তা ইলন মাস্কের যে পছন্দ নয়, তা তাঁর অতীতের টুইট থেকেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সেই সামিটে মহেন্দ্রনাথ সাফ জানিয়েছেন, আত্মনির্ভর ভারত অভিযানই ভারত সরকার ও টেসলার গাঁটছড়া বাধার ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায়।

আত্মনির্ভর ভারতের মাধ্যমে বিভিন্ন শিল্পে দেশীয় প্রযুক্তিকে শিল্পের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। বিদেশি সংস্থাকেও ভারতে কারখানা করে যন্ত্রাংশ তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু হাটখোলা বাজার না পেলে তিনি কারখানা করবেন না বলে এ বছর মে মাসে এক টুইটে স্পষ্ট করছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। সেই টুইটে তিনি লিখেছিলেন, “টেসলা এ রকম কোনও জায়গায় গাড়ির তৈরির কারখানা করতে যাবে না, যেখানে প্রথমে তাঁদের গাড়ি বিক্রি এবং সার্ভিসিংয়ের সুযোগ নেই।”

অন্যদিকে বিকল্প জ্বালানি ব্য়বহারের জন্য ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরির ব্যাপারে উৎসাহ দিচ্ছে মোদী সরকার। সে জন্য বিভিন্ন উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। যে সব উদ্য়োগের বিষয়টি সামিটে উঠে এশেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মুখে। এ ব্যাপারে মহেন্দ্রনাথ বলেছেন, “Fame I এবং Fame II প্রকল্পের অধীনে ইলেকট্রিক গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাকে ইনসেন্টিভ দেওয়া হয়েছে। এর পর থেকে ভারতে প্রতিমাসে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রি হচ্ছে।” সরকার এই প্রকল্পের দ্বিতীয় দফায় ১০ হাজার কোটি টাকা ইনসেন্টিভ দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আত্ননির্ভর ভারত অভিযানের অধীনেই দেওয়া হয় এই ইনসেন্টিভ। পাশাপাশি কোনও বিদেশি সংস্থা ভারতে কারখানা করলে, তাঁদের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ এ দেশে তৈরির শর্ত রেখে কেন্দ্র।

প্রচুর দামের বিলাসবহুল বিদেশি গাড়ির প্রসঙ্গে তাই মন্ত্রী বলেছেন, “১৫ থেকে ২২ লক্ষ টাকার বেশি দাম হবে, এ রকম গাড়ি আমরা তৈরি করি না। বিদেশে অটোমেটিক গিয়ার, ব্রেক তৈরি হলে তাঁর দাম বেশি পড়ে। কিন্তু আত্মনির্ভর ভারতের অধীনে এ সব ভারতে তৈরি হলে ভাল মানের গাড়ির দাম যথেষ্ট কম পড়বে।” টেসলার তৈরি গাড়ির উদ্দেশেই যে এই মন্তব্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করেছেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই বক্তব্য বুঝিয়ে দিচ্ছে, ভারত সরকারের সঙ্গে টেসলার দূরত্ব এতটুকু কমেনি।