Deadly love triangle: প্রেমিকের কাছে নিজেকে ‘পবিত্র’ প্রমাণের জন্য বন্ধুকে খুন করল প্রেমিকা, মাটিতে দেহ পুঁতে ছড়ালো নুন
Affair Complication: প্রেমিকের অভিযোগ ছিল, প্রেমিকা গোপনে তাঁর বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে। তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও করে। কিন্তু সেই অভিযোগ মানতে নারাজ ছিল প্রেমিকা। সে প্রেমিকের অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে।
ভোপাল: প্রেমিকের কাছে নিজেকে ‘পবিত্র’ প্রমাণের জন্য খুনে জড়িয়ে পড়ল প্রেমিকা। ভয়ঙ্কর খুনের এই ঘটনা সম্প্রতি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের হাবিবগঞ্জে। প্রেমিকার এক বন্ধুকে নিয়ে সম্পর্কের জটিলতা তৈরি হয় প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যে। প্রেমিকের অভিযোগ ছিল, প্রেমিকা গোপনে তাঁর বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে। তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও করে। কিন্তু সেই অভিযোগ মানতে নারাজ ছিল প্রেমিকা। সে প্রেমিকের অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে। নিজের ‘পবিত্রতা’ প্রমাণের জন্য বন্ধুকে খুন করতে প্রেমিকার সাহায্য চায় প্রেমিক। সেই মতো পরিকল্পনা করেই বন্ধুকে বাড়িতে ডাকেন তারা। তার পর ঠান্ডা মাথায় খুন করেন। এবং ঘরের নীচেই দেহ চাপা দেয়। তবে প্রেমিকের অতিরিক্ত কথা বলার প্রবণতার জন্যই এই খুনের কথা চাপা থাকেনি। পাড়া প্রতিবেশীরা বিষয়টি জানতেই খবর দেয় পুলিশকে। তার পর অভিযুক্ত প্রেমিক ও প্রেমিকাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম শিবদত্ত। তাকে খুনে অভিযুক্তরা হল সমশের ও আশা ঠাকুর। তারা ২ জন লিভ করতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। যদিও সমশের ও আশা ২ জনেই বিবাহিত। কিন্তু বিয়ের সম্পর্ক ছেড়েই তারা একে অপরের সঙ্গে থাকতেন। শিবদত্ত ছিলেন আশা ও সমশেরের বন্ধু। কিন্তু শমসেরের সন্দেহ ছিল শিবদত্তের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে আশার। সেই নিয়ে তাঁদের সঙ্গে ঝামেলাও হত। শমসের আশাকে বলে, প্রেমের ব্যাপারে নিজের ‘সততা’ প্রমাণ করতে। শিবদত্তকে খুনে সাহায্যের মাধ্যমেই সততা প্রমাণের উপায় ঠিক করে ওই যুগল।
সেই মতো শিবদত্তকে একদিন ঘরে ডাকে আশা। পার্টি করার জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। শমসের শিবদত্তকে মদ খাওয়ান। এবং শিবদত্ত মত্ত হতেই তাঁর বুকে ছুরি চালিয়ে দেন। শেষে লোহার রডে করে শিবদত্তের মাথায় বার বার আঘাত করেন। তার পর আশা ও শমসের ২ জন মিলে মাট খুঁড়ে দেহ পুঁতে দেয়। দেহের পচন দ্রুত হওয়ার জন্য আশা লবন ছড়িয়ে দেয় মৃতদেহের উপর।
খুনের ঘটনা বেশ কিছু দিন আগে ঘটলেও এ ব্যাপারে কেউ কিছু জানতে পারেনি। পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝড়গার সময় বাচাল স্বভাবের শমসেরের মুখ দিয়েই বেরিয়ে যায় ঘটনার কথা। তাদের প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানান এই খবর। তার পরই পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। অভিযুক্ত ২ জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ত্রিকোণ সম্পর্কের জটিলতাতেই প্রাণ গিয়েছে শিবদত্তের।