NHRC : ‘আপনার হাত ধরে নতুন যুগের সূচনা হয়েছে কাশ্মীরে’, অমিত শাহে মুগ্ধ মানবাধিকার কমিশনের প্রধান
Amit Shah: অমিত শাহের ভূয়সি প্রশংসা করতে দেখা যায় অরুণ মিশ্রকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, "অমিত শাহ, আপনার জন্যই জম্মু ও কাশ্মীরে এখন এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।"
নয়া দিল্লি : জম্মু ও কাশ্মীরে এক নতুন যুগের সূচনা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর হাত ধরে। এমনটাই মনে করছেন দেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রধান অরুণ মিশ্র। আজ রাজধানী দিল্লিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ২৮ তম বর্ষপূর্তির এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রধানও। সেখানেই অমিত শাহের ভূয়সি প্রশংসা করতে দেখা যায় অরুণ মিশ্রর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, “অমিত শাহ, আপনার জন্যই জম্মু ও কাশ্মীরে এখন এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।”
জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের সবথেকে বেশি সংবেদনশীল এলাকার মধ্যে পড়ে। প্রায় প্রতিদিনই সেখানে জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর গুলির লড়াই চলে। রক্ত ঝড়ে। কিন্তু তার মধ্যেও পরিস্থিতি এখন আগের তুলনায় অনেকটাই ভাল হয়েছে বলে মনে করছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রধান অরুণ মিশ্র। একইসঙ্গে পাকিস্তান ইস্যুতে নাক গলানোর জন্য নাম না করে পাকিস্তানের তুলোধনা করতেও দেখা গেল অরুণ মিশ্রকে। বললেন, একাধিক বিদেশি শক্তির উস্কানিতে ভারতের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক কালে কাশ্মীর সম্পর্কে শব্দ খরচ করতে কখনও পিছপা হননি ইমরান খান। কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, এমন দাবি পাকিস্তানের নতুন নয়। কিছুদিন আগে রাষ্ট্রপুঞ্জে ফের একবার সে কথা মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি তিনি। কবে নয়া দিল্লি কাশ্মীর সমস্যার স্থায়ী সমাধান করবে, তা জানতে চান পাক প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দাবি, কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা মানবাধিকার লঙ্ঘন করবে। বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার গিলানির কথাও এ দিন শোনা গেল ইমরানের মুখে। কয়েকদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে গিলানির। ইমরান খানের অভিযোগ, গিলানির দেহ জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদিও ঠিক কী ভাবে গিলানির দেহ সৎকার হয়েছে, সেই ছবি আগেই সামনে এনেছে কাশ্মীর পুলিশ।
ইমরান খান আরও বলেছিলেন, ভারতীয় সেনা নাকি ক্রমাগত মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে কাশ্মীর উপত্যকায়। এই নিয়ে অবশ্য ভারতের থেকে চরম প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, “এটাই প্রথমবার নয়, যখন পাকিস্তানের নেতৃত্ব রাষ্ট্রপুঞ্জের দেওয়া মঞ্চের অপব্য়বহার করে ভুয়ো ও বিদ্বেষমূলক প্রচার চালিয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে। নিজেদের দেশ, যেখানে সন্ত্রাসবাদীদের অবাধ আনাগোনা রয়েছে এবং সাধারণ মানুষের জীবনকে সম্পূর্ণ ওলট-পালট করে দেওয়া হয়েছে, সেই দিক থেকে গোটা বিশ্বের নজর ঘোরাতেই তারা এই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।”
রাষ্ট্রপঞ্জের সদস্য দেশগুলিও যে পাকিস্তানের এই ইতিহাস সম্পর্কে অবগত, তার উল্লেখ করে ভারতের তরফে অভিযোগ আনা হয়, পাকিস্তান ক্রমাগত সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে আশ্রয় এবং অর্থ, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণে মদত দিয়ে চলেছে। কাশ্মীর প্রসঙ্গেও রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের সচিব স্নেহা দুবে বলেন, “দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তানের ঢুকে পড়া ও বিশ্বমঞ্চে মিথ্যা উগরে দেওয়ার প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে ভারতের তরফে।”
আরও পড়ুন : PM Narendra Modi: বদলাচ্ছে সরকারের খোলনচে, কাজে গতি ও সমন্বয় আনতে ‘গতিশক্তি’র সূচনা করবেন নমো