নাগাড়ে ধর্ষণ-খুনের হুমকির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে রাজপথে নুসরত-কাঞ্চন-সায়নীরা

সোচ্চার হন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী, হরনাথ চক্রবর্তী, অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত জাহান, কৌশিক সেন-সহ টলিউডের বিশিষ্টদের একাংশ। উপস্থিত ছিলেন সায়নী ঘোষ, সোহিনী সেনগুপ্ত, কাঞ্চন মল্লিক-সহ আরও অনেকে।

নাগাড়ে ধর্ষণ-খুনের হুমকির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে রাজপথে নুসরত-কাঞ্চন-সায়নীরা
ছবি- ফেসবুক
Follow Us:
| Updated on: Jan 25, 2021 | 10:34 PM

কলকাতা: সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার হুমকির বিরুদ্ধে এবার রাজপথে নামলেন বাংলার শিল্পীমহলের একাংশ। কোনও রাজনৈতিক ব্যানার, পোস্টার ছাড়াই পথে নামলেন শিল্পীরা। সোমবার দুপুর ৩টে নাগাদ কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে সমবেত হলেন টলিউডের বেশ কয়েকজন নামজাদারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিগত কিছুদিন ধরে সায়নী ঘোষ, দেবলীনা দত্ত-সহ বিভিন্ন শিল্পীদের ক্রমাগত ধর্ষণ এবং খুনের হুমকি দেওয়ার ঘটনার বিরোধিতায় এ দিন সোচ্চার হন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী, হরনাথ চক্রবর্তী, অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত জাহান, কৌশিক সেন-সহ টলিউডের বিশিষ্টদের একাংশ। উপস্থিত ছিলেন সায়নী ঘোষ, সোহিনী সেনগুপ্ত, কাঞ্চন মল্লিক-সহ আরও অনেকে।

‘এ কোন সকাল/রাতের চেয়েও অন্ধকার’। ঠিক এভাবেই এই মঞ্চের সুর বাঁধা হয়েছিল প্রতিবাদী শিল্পীদের পক্ষ থেকে। এ দিনের জমায়েতে অভিনেতা কৌশিক সেন বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস আমার প্রধান শত্রু নয়। আমার ওদের সঙ্গে সমস্যা রয়েছে। তবে আমার প্রধান শুত্রু এখন বিজেপি। বাংলায় এক ভয়ঙ্কর সংস্কৃতির আমদানি হয়েছে। তা এনেছে বিজেপি। ওরা উড়ে এসে জুড়ে বসেছে।”

গত ২৩ জানুয়ারি ভিক্টোরিয়ার নেতাজীর ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী পালনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনির ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, তা নিয়েও এ দিন মুখ খোলেন বিশিষ্টরা। চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন বলেন, “যে ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমান করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধেই আজকের এই প্রতিবাদ।” ওই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে এনেই নুসরতের বক্তব্য, “বিজেপি মহিলাদের সম্মান করে না। ওরা ওঁদের মহিলা ব্রিগেডকে আগে এগিয়ে দিয়ে নিজেরা ওদের পিছনে গিয়ে দাঁড়ায়।”

আরও পড়ুন: পদ্মবিভূষণ পাচ্ছেন জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, ৭ বাঙালির নাম পদ্মশ্রী প্রাপকের তালিকায়

সম্প্রতি এক টুইটকে কেন্দ্র করে ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়ের সঙ্গে আইনি তরজায় জড়িয়েছেন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। সায়নীর টুইটার হ্যান্ডেল থেকে ২০১৫ সালে একটি টুইট করা হয়েছিল। যেখানে শিবলিঙ্গকে অপমান করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সেই প্রসঙ্গ টেনে তথাগত অভিযোগ করেন, হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত করেছেন সায়নী। যদিও সায়নী দাবি করেছিলেন, ২০১৫ সালে তাঁর অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়। তিনি নিজেই এই পোস্ট করেননি। যদিও বিতর্ক থামেনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিগত বেশ কিছু ধরেই সায়নীকে প্রকাশ্যে ধর্ষণের হুমকি, কদর্য মন্তব্যের জোয়ার চলছিল। এ দিনের ওই জমায়েতে উপস্থিত ছিলেন সায়নীও। তিনি বলেন, “প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে হল কারণ মত প্রকাশের অধিকার ক্রমশ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।”

আরও পড়ুন: শুভেন্দুর দোরগোড়ায় অভিষেক, প্রহর গুনছে কাঁথি