Abhishek Banerjee : ‘এটাই ডিসেম্বর ধামাকা?’, বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে বিজেপিকে তোপ অভিষেকের, চক্রান্তও দেখছে ঘাসফুল শিবির

Abhishek Banerjee :‘কালীপটকা ফাটাবে, আর অভিষেক ভয়ে পালাবে?’ আক্রমণে অভিষেকের, ‘যেখানেই তাকাই হয়, তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ’, পাল্টা দিলীপ।

Abhishek Banerjee : 'এটাই ডিসেম্বর ধামাকা?', বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে বিজেপিকে তোপ অভিষেকের, চক্রান্তও দেখছে ঘাসফুল শিবির
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 03, 2022 | 8:59 PM

কলকাতা ও কাঁথি: কাঁথিতে অভিষেক, আর ডায়মন্ড-হারবারে শুভেন্দুর, শনিবার যুযধান দুই পক্ষের দাপুটে দুই নেতার সভাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হল বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। তবে শনিবার অভিষেকের সভার আগে শুক্রবার রাতে বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) ভূপতিনগর। যে জায়গায় কাঁথিতে অভিষেকের সভা ছিল তার থেকে এই ভূপতিনগরের দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। এই বিস্ফোরণ নিয়ে বর্তমানে চলছে জোরদার চাপানউতর। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) দাবি অভিষেককে বোমা মারার জন্যই জমানো হচ্ছিল বোমা। একই সুর শোনা গিয়েছে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের গলায়। 

কাঁথির সভা থেকে এ বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee)। কাঁথিতে দাঁড়িয়ে বিজেপির ‘ডিসেম্বর ডেডলাইন’ নিয়ে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, “কথায় কথায় বলছে, ডিসেম্বরে এই হবে, সেই হবে। আজ বুঝতে পারলাম, কী হবে। উনি নিজে টুইট করে বলেছেন, যে বোমটি কাঁথিতে মারার কথা ছিল, সেটি ফেটেছে। তার মানে কী? আজকের সভায় কী প্ল্যান ছিল? এটাই ডিসেম্বর ধামাকা? তাই তো? তুমি কি ভাবছো, তুমি কোথায় কালীপটকা ফাটাবে, আর অভিষেক ভয়ে পালাবে? তুমি লেজ গুটিয়ে পালানোর পার্টি, আমি বুক চিতিয়ে লড়ার পার্টি।” 

বোমা বিস্ফোরণে তৃণমূলের এক বুথ সভাপতি সহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় NIA তদন্তের দাবি তুলেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন দিলীপ ঘোষের মতো নেতারা। তবে তৃণমূল নেতাদের স্পষ্ট দাবি, পুরোটাই চক্রান্ত। অভিষেককে হত্যা করতেই পুরো ছক কষা হয়েছিল। কড়া প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের মুখপত্র কুণাল ঘোষকে। তিনি বলেন, “কনভয়ের মোড়কে টাকা-অস্ত্র সাপ্লাই করা হচ্ছিল। অভিষেক সড়ক পথে আসছিল, তাই ওকে বোমা মারার জন্য বোমা জমানো হচ্ছিল।” টুইট করেন অর্থ মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেখানে তিনি লেখেন, ‘এটা স্পষ্টতই হত্যার চক্রান্ত। বিজেপি স্বাকীরও করছে।’ 

চাপানউতরের মধ্যে এনআই তদন্তের দাবি জানিয়ে টুইট করেছেন শুভেন্দু। তাতে তিনি লিখেছেন, “বিস্ফোরণে তৃণমূল নেতার বাড়ি উড়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের, গুরুতর জখম হয়েছেন ২ জন। তৃণমূল নেতা রাজকুমার মান্না তাঁর বাড়িতে বসে বোমা বাঁধছিলেন, সেই সময়ই এই তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে। আমি এনআইএ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।” তীব্র কটাক্ষবাণ শানিয়ে বিজেপির সর্ব-ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “যেখানেই তাকাই হয়, তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ। অথবা বিস্ফোরণের ঘটনায় তৃণমল নেতার নাম। তারাই প্রধান, তারাই পঞ্চায়েত, তারাই বিধায়ক। তারাই সমাজবিরোধী। এদের থেকে এর বেশি কিছু আশা করা যায় না।”

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে অর্জুননগরের নাড়ুয়াভিলা গ্রামে তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্নার বিস্ফোরণের কেঁপে ওঠে। সূত্রের খবর, সেখানে ছিলেন চার জন। রাজকুমার-সহ বিশ্বজিৎ গায়েন ও লালুরও মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি  তৃণমূলের বুথ সভাপতির স্ত্রীর। বাকি ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শনিবার সকালে এলাকার হোগলা বন থেকে একজনের ঝলসে যাওয়া দেহ উদ্ধার হয়।