Anis Khan Death : আনিসের মৃত্যু পুলিশের গাফিলতিতেই, তবে পরিকল্পিত নয়, আদালতে জানাল রাজ্য

Anis Khan Death : বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানতে চান, পুলিশ অফিসাররা কেন আনিসকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন না? আর ছাদে ওঠার পর কী হল সেগুলো এখনও স্পষ্ট নয়।

Anis Khan Death : আনিসের মৃত্যু পুলিশের গাফিলতিতেই, তবে পরিকল্পিত নয়, আদালতে জানাল রাজ্য
আনিস খান আত্মহত্যা করেননি বলে আদালতে বলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 17, 2022 | 5:57 PM

কলকাতা : খুন বা আত্মহত্যা নয়। পড়ে গিয়েই মৃত্য হয়েছে আমতার ছাত্রনেতা আনিস খানের । তবে পুলিশের গাফিলতিতে রয়েছে বলে আদালতে স্বীকার করলেন রাজ্যের আডভোকেট জেনারেল সৌম্যেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। আজ কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) তিনি বলেন, পুলিশের কোনও উদ্দেশ্য ছিল না তাঁকে মারার। পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে আনিসের। তবে যেভাবে তল্লাশি চালানো হয়েছে সেটা সঠিক হয়নি। তবে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম আসেনি যিনি তদন্ত প্রভাবিত করতে পারেন। রাজ্যজুড়ে সিভিক নিয়োগ বন্ধ রাখা উচিত বলে আজ আদালতে মত দেন এজি।

চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে আনিস খানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যায় পুলিশ। সঙ্গে ছিল সিভিক ভলান্টিয়াররাও। তল্লাশির সময়ই বাড়ি থেকে নীচে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। আনিসের পরিবারের অভিযোগ, আনিসকে নীচে ঠেলে ফেলে দিয়ে খুন করেছে পুলিশ। পুলিশের বক্তব্য, তাদের দেখে নীচে ঝাঁপ দিয়েছিলেন আনিস। যার জবাবে পরিবারের বক্তব্য, নীচে পড়ে যাওয়ার পর হাসপাতালে আনিসকে না নিয়ে গিয়ে কেন পালিয়ে গেল পুলিশ।

আজ হাইকোর্টে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, আনিশের দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্টের থেকে আলাদা নয়। শুধু ঘষা লাগার জন্য ধূসর রঙের চিহ্ন ছিল শরীরে। যেটি ৭-৮ দিনের পুরোনো। সিমেন্টের উপর পড়ার জন্য আঘাত লাগে। তৃতীয় তল থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে। কোনও প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন না। ছাদ থেকে পড়েননি, কারণ তার ঝুলছিল সামনে। ছাদে তাঁকে দেখা গেলেও তৃতীয় তল থেকে পড়েছেন।

বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানতে চান, পুলিশ অফিসাররা কেন আনিসকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন না? আর ছাদে ওঠার পর কী হল সেগুলো এখনও স্পষ্ট নয়। অভিযোগ পাওয়ার পর কী করেছিল পুলিশ? তদন্তের প্রয়োজনীয়তা আছে।

তদন্তে গাফিলতি হয়নি বলে দাবি করে এজি বলেন, “পুলিশের গাফিলতি হলে তাদের আড়াল করা হবে না। তবে পুলিশ জানত না আনিস খান কে? খুন হয়েছে কোথাও প্রমাণিত নয়। সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ আপাতত বন্ধ হোক তার সুপারিশ করেছি।” বিচারপতি সহমত পোষণ করে জানান, এদের কোনও দায়িত্ব থাকে না, কারণ এরা চুক্তিভিত্তিক হন। ৭ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি।