Jadavpur University: অধ্যাপক হেনস্থার অভিযোগে তুলকালাম যাদবপুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল, শোকজ় করল কর্তৃপক্ষ
JU Chaos: ঘটনার পর কার্যত ভেঙে পড়েছেন অধ্যাপক স্বপন ভট্টাচার্য। অপমানে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তিনি। সেই অবস্থাতেই জানালেন, "আমি এমন কিছু কোনওদিন আশা করিনি। এতটা বাজে গালিগালাজ শুনতে হবে, বা এমন অবস্থার মধ্যে পড়তে হবে, তা কোনওদিন ভাবিনি।"
কলকাতা: তুলকালাম কাণ্ড যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানকে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ উঠল এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। রসায়নের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক স্বপন ভট্টাচার্যকে চরম হেনস্থার অভিযোগ কর্মচারী উদয়ভান সিংহের বিরুদ্ধে। ওই কর্মচারী তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সেলের সমর্থক বলেই পরিচিত। আর এই ঘটনার পর কার্যত ভেঙে পড়েছেন অধ্যাপক স্বপন ভট্টাচার্য। অপমানে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তিনি। সেই অবস্থাতেই জানালেন, “আমি এমন কিছু কোনওদিন আশা করিনি। এতটা বাজে গালিগালাজ শুনতে হবে, বা এমন অবস্থার মধ্যে পড়তে হবে, তা কোনওদিন ভাবিনি।”
কিন্তু কী এমন ঘটেছিল? অধ্যাপক জানাচ্ছেন, এদিন রসায়ন বিভাগের ক্লাসরুমগুলি বন্ধ ছিল। ছাত্রছাত্রীরা বাইরে অপেক্ষা করছিল। তিনি নিজে দু’টি ঘর খুলে এসেছিলেন। কিন্তু বাকি দুটি ঘর খোলার জন্য তিনি ওই কর্মচারীকে বলেছিলেন। আর এই নিয়েই শুরু হয় সমস্যা। ওই কর্মচারী ঘর খুলতে চায়নি। সেই সময় রেগে গিয়ে অধ্যাপক বলেছিলেন, যখন তিনি কাজ করবেন না, তাহলে হাজিরা খাতায় সই করার দরকার নেই। আর এরপরই উদয়ভান সিং সেখান থেকে চলে যান এবং শিক্ষবন্ধু সমিতির নেতা বিনয় সিং ও তাঁর দলবলকে সেখানে ডেকে আনেন। এরপরই তাঁরা সকলে মিলে ওই অধ্যাপককে হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। এদিকে ওই ঘটনার জেরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত কর্মচারী উদয়ভান সিংকে শোকজ করেছে বলেও জানা গিয়েছে। আপাতত তিনি ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারবেন না। এর পাশাপাশি তৃণমূল নেতা বিনয় সিংকেও শোকজ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেছিলেন, “একটি অভিযোগ এসেছে। ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। যাদবপুরের সব কর্মচারী, শিক্ষক, ছাত্র, আধিকারিক… সকলের মধ্যে একটি সুন্দর সম্পর্ক রয়েছে। এই ঘটনা যদি সত্যিই হয়ে থাকে, তাহলে তা যাদবপুরের ঐতিহ্যের পরিপন্থী। অভিযোগের ভিত্তিতে রসায়ন বিভাগের ওই নন টিচিং স্টাফকে আপাতত ক্যাম্পাসে ঢোকার থেকে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে। যে কোনও ক্ষেত্রেই অভিযুক্তের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রেও দেওয়া হবে।”
যদিও বিষয়টি সম্পর্কে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষাবন্ধু সমিতির সভাপতি বিনয় সিং জানাচ্ছেন, “অধ্যাপক তাঁকে একটি কাজ করতে বলেছিলেন, সেই কাজটি হয়ত তিনি করেননি। এক্ষেত্রে তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে পারতেন। কিন্তু হাজিরা খাতায় সই না করতে দেওয়ার অধিকার কারও নেই।”