Entally Murder: বিহার থেকে কলকাতায় এসে ‘খুন’ তরুণী, কেন এই মর্মান্তিক পরিণতি? রহস্যভেদের চেষ্টায় পুলিশ

Entally Police Station: কী কারণে ওই তরুণীর মৃত্যু? খুন নাকি অন্য কোনও কারণ? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। তিন অভিযুক্তর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

Entally Murder: বিহার থেকে কলকাতায় এসে 'খুন' তরুণী, কেন এই মর্মান্তিক পরিণতি? রহস্যভেদের চেষ্টায় পুলিশ
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 22, 2022 | 7:07 PM

কলকাতা: বিহার থেকে কলকাতায় (Kolkata) এসে ‘খুন’ হতে হল বছর আঠারোর এক তরুণীকে। সম্প্রতি বিহার থেকে কলকাতায় এসে বেলেঘাটা রোডে এক আত্মীয়র বাড়িতে উঠেছিলেন চিত্তরঞ্জন কুমার। সঙ্গে তাঁর আত্মীয় বছর আঠারোর ওই তরুণীও ছিল। সোমবার সকালে চিত্তরঞ্জন নামে ওই ব্যক্তি স্থানীয় এন্টালি থানায় (Entally Police Station) গিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ তিনি থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান, তাঁর সঙ্গে বিহার থেকে আসা ওই তরুণীকে তিন জন ব্যক্তি খুন করেছে। যদিও তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তদের নাম এখনই প্রকাশ্যে আনছে না পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কী কারণে ওই তরুণীর মৃত্যু? খুন নাকি অন্য কোনও কারণ? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। তিন অভিযুক্তর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

চিত্তরঞ্জন নামে ওই ব্যক্তি বিহারের মোতিহারি জেলার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। যে তরুণীর মৃত্যু হয়েছে সে বিহারের চম্পারণ জেলার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ওই ঘটনার পর মঙ্গলবার এন্টালি থানা এলাকার ওই বাড়িতেও গিয়েছিল টিভি নাইন বাংলা। কিন্তু বাড়িতে সেই সময় কেউ নেই। যাঁর সঙ্গে ওই তরুণী এসেছিলেন, সেই চিত্তরঞ্জন কুমারের আত্মীয়র বাড়ি সেটি, এমনই জানা গিয়েছে। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, ওই বাড়ির থেকে বলা হয়েছিল, এক মহিলাকে নিয়ে তাঁদের এক আত্মীয় বাড়িতে এসেছেন। কিন্তু এর বেশি আর কিছুই প্রতিবেশীরা বলতে পারছেন না। তাঁদের কাউকে সেই সময় বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলেই দাবি প্রতিবেশীদের।

ইতিমধ্যেই চিত্তরঞ্জন কুমার নামে ওই ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে এন্টালি থানার পুলিশ। অভিযুক্ত তিন ব্যক্তির খোঁজ চালানো হচ্ছে। কী কারণে ওই তরুণীর মৃত্যু হল, সেই রহস্যভেদের চেষ্টা করছেন পুলিশকর্মীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই আশপাশের প্রতিবেশীদের মধ্যে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কী কারণে এই ঘটনা, তা জানতে চান তাঁরাও।

লালবাজার সূত্রে খবর, ওই তরুণীকে ডাক্তার দেখানোর জন্য নিয়ে এসেছিল চিত্তরঞ্জন কুমার। চিত্তরঞ্জনের ভাই মারা গিয়েছে। সেই ভাইয়ের বউকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিল পরিবার। কিন্তু চিত্তরঞ্জন রাজি ছিল না। সেই কারণেই কলকাতায় পালিয়ে এসেছিল। সেই আক্রোশ থেকেই ব্লেড দিয়ে ওই তরুণীকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। কিন্তু এরপরও কিছু মিসিং লিঙ্ক থেকে যাচ্ছে এবং সেগুলি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।