Anubrata Mandal: ভর্তি নেয়নি SSKM, এবার চিকিৎসার জন্য দক্ষিণ ভারতে যেতে পারেন অনুব্রত
Birbhum: শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের কাছে অপারেশনের আর্জি করেছিলেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এবার এই শারীরিক সমস্যা নিয়ে দক্ষিণ ভারতে চিকিৎসা করাতে যেতে চান তিনি। সূত্র মারফত এমনই জানা গিয়েছে।
কলকাতা ও বোলপুুর : শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে বার বার সিবিআই হাজিরা এড়িয়ে যাচ্ছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এসএসকেএম হাসপাতালের ভর্তি না নেওয়ার পর বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসককে বাড়িতে নিয়ে এসে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক তাঁর ফিস্চুলার সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি যাতে বিশ্রামে থাকেন, সেই পরামর্শের কথাও বলেছেন। যদিও ওই চিকিৎসকের দাবি, অনুব্রত বাবুই তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন বিশ্রামের কথা লেখার জন্য। এরপর শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের কাছে অপারেশনের আর্জি করেছিলেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই তৃণমূল নেতা। এবার এই শারীরিক সমস্যা নিয়ে দক্ষিণ ভারতে চিকিৎসা করাতে যেতে চান অনুব্রত মণ্ডল। সূত্র মারফত এমনই জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, শারীরিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে সিবিআইকে চিঠি দিয়ে আরও ১৪ দিনের সময় চেয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। এমনকী তিনি অসুস্থ জেনেও অনুব্রত মণ্ডলকে যেভাবে সিবিআই সমন পাঠাচ্ছে, তাতে তিনি স্তম্ভিত বলেও উল্লেখ করছেন ওই চিঠিতে। অনুব্র্রত মণ্ডলের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র মারফত খবর, ফিসচুলার সমস্যা সংক্রান্ত চিকিৎসার জন্য তিনি চেন্নাইয়ে যেতে পারেন।
অনুব্রত মণ্ডলের তরফে যে চিঠি সিবিআইয়ের কাছে পাঠানো হয়েছে, সেই আবেদন এবং তার সঙ্গে চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় ঘটনাক্রম, অডিয়ো এবং অন্যান্য তথ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দিল্লির অফিসে পাঠানো হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। এ ক্ষেত্রে, অনুব্রত মণ্ডল সংক্রান্ত পরবর্তী ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিল্লি থেকে নেওয়া হতে পারে।
এদিকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে যে চিকিৎসক অনুব্রত মণ্ডলকে দেখতে গিয়েছিলেন সেই চন্দ্রনাথ অধিকারী টিভি নাইন বাংলাকে জানিয়েছেন, “আমি সরকারি কর্মচারী এবং আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মানতে বাধ্য। আমাকে সুপার যা বলেছেন আমি তাই করেছি।” পাশাপাশি আরও বিস্ফোরক দাবি করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, তাঁর কাছে নিজস্ব প্যাড ছিল না। এ-৪ মাপের একটি সাদা কাগজে তিনি লিখে দিয়েছিলেন। অনুব্রত মণ্ডলই তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন ১৪ দিনের বেড রেস্ট লিখে দেওয়ার জন্য। ফলে তিনি সেই অনুরোধ ফেলতে পারেননি। পাশাপাশি, বিষয়টি যদি হাসপাতালে হত, তাহলে বিষয়টি অন্যরকম হত বলেও জানান ওই চিকিৎসক।