Anubrata Mondal: গরু পাচার মামলায় ফের অনুব্রত মণ্ডলকে তলব
Anubrata Mondal: ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের তিন ঘনিষ্ঠ টুলু, কেরিম, জিয়াউলের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছেন তদন্তকারীরা।
কলকাতা: গরুপাচার-কাণ্ডে ময়দানে তেড়েফুঁড়ে সিবিআই। আবারও তলব করা হল অনুব্রত মণ্ডলকে। সোমবার নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের তিন ঘনিষ্ঠ টুলু, কেরিম, জিয়াউলের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছেন তদন্তকারীরা। উদ্ধার হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ নথি ও হিসাবপত্র। সূত্রের খবর, গরু পাচারের মূল চক্রী এনামুল, সায়গলের জেরায় আরও জোরাল কেষ্ট-যোগ।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, মূল চক্রী এনামুল হক তাঁদের কাছে গরু পাচারের রুটের একটি ম্যাপ দিয়েছেন। অর্থাৎ কোন কোন রুটে গরু পাচার হত, তা সেটি দিগ নির্দেশ করে একটি ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। সেটি রাজ্যের ভৌগোলিক সীমার সঙ্গে মিলিয়ে দেখেছেন তদন্তকারীরা। তাতে দেখা যাচ্ছে, ঝাড়খণ্ড লাগোয়া জেলা বীরভূম, তারপর সেখান থেকে মুর্শিদাবাদ, মালদায় পাচার হত গরু। তবে পাচারের সময়ে বেশিরভাগটা রাস্তা ছিল বীরভূম জেলার মধ্যে দিয়েই। মুর্শিদাবাদ ও মালদা থেকে বেশিরভাগ গরু পাচার হত। সবথেকে বেশি গরু পাচার হত মুর্শিদাবাদ থেকে।
মালদা-মুর্শিদাবাদে গরুর হাট বসত। সেখান থেকেই হত কারচুপি। এর পিছনে বিএসএফের একটা অংশের হাত ছিল। ইতিমধ্যেই সেই অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমারকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তদন্তে জানা গিয়েছে, হাটে কিছু গরুকে সিজ় দেখাত বিএসএফ। অর্থাৎ খাতায়কলমে সেই গরুগুলিকে বাজেয়াপ্ত করা হত। কিন্তু সেই গরুগুলি চলে যেত বাংলাদেশে। সেই তথ্য ইতিমধ্যেই তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। বিএসএফের কাজই পাচার আটকানো। সেই বাজেয়াপ্ত গরুগলিকেই মোটা দামে বিক্রি হত।
এনামুল ইতিমধ্যেই তদন্তকারীদের কাছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। সেই সূত্র ধরেই এবার অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করল সিবিআই।