Arjun Singh: ঘর ওয়াপসি অর্জুনের, তৃণমূলের উত্তরীয় গলায় দিতেই বদলে গেল টুইটারের বায়ো

Arjun Singh: সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন ব্যারাকপুরের সাংসদ। সূত্র মারফত এমনই জানা গিয়েছে।

Arjun Singh: ঘর ওয়াপসি অর্জুনের, তৃণমূলের উত্তরীয় গলায় দিতেই বদলে গেল টুইটারের বায়ো
অর্জুনের ঘর ওয়াপসি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 22, 2022 | 6:21 PM

কলকাতা : শেষ পর্যন্ত ঘরের ছেলে ঘরে ফিরলেন। তৃণমূলের উত্তরীয় গলায় পরিয়ে তাঁকে স্বাগত জানালেন দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যারাকপুরের সাংসদের ঘর ওয়াপসি ঘিরে রবিবার সকাল থেকেই জল্পনা ছিল তুঙ্গে। শেষে তিনি যখন ক্যামাক স্ট্রিটে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে ঢুকলেন, তখন চিত্রটা আরও স্পষ্ট হয়ে যায়। শেষে সেই জল্পনাই সত্যি হল। ফুল বদল করলেন অর্জুন সিং। পদ্ম ছেড়ে ফিরলেন জোড়াফুলে। ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অর্জুনের বৈঠকের সময় ছিলেন রাজ চক্রবর্তী, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও।  দলীয় সূত্রে খবর আগামিকাল অর্থাৎ, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন ব্যারাকপুরের সাংসদ। ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের বাইরে ভিড় জমিয়েছেন অর্জুন সিংয়ের অনুগামীরাও। অর্জুন সিংয়ের দলবদলে খুশি অর্জুন সিংয়ের অনুগামীরাও।

দলবদলের ইঙ্গিত আগেই TV9 বাংলায় কথাবার্তা অনুষ্ঠানে এসে বলেছিলেন অর্জুন সিং। অর্জুন সিং বলেছিলেন, “আমার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ঠিকই আছে। আজও সাংসদ আছি। যদি রাজনীতি করি, আগামিকালও সাংসদই থাকব।” তবে কোন দলের হয়ে সাংসদ থাকবেন, সেই প্রসঙ্গে অর্জুন বাবু স্মিত হেসে বলেছিলেন, “এটা তো অন্য ব্যাপার হয়ে গেল। আমি সাংসদ থাকব, এতে কোনও সন্দেহ নেই।”

Highlights

  1.  সাংসদ অর্জুন সিং এর আগে ঘর ওয়াপসির জল্পনা উস্কে দিয়ে বলেছিলেন, “তৃণমূলে কে কী বলবেন, কে কী করবেন, সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করেন। ঘরওয়াপসি হবে কি না, সময় বলবে।” তখন থেকেই মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল চিত্রটা। দলবদল ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। অর্জুন সিং আরও বলেছিলেন, “আমি মানুষকে নিয়ে রাজনীতি করি। ব্যারাকপুরের মানুষ আমার সঙ্গে আছেন। আমি তাঁদের সুখে দুঃখে পাশে থাকি। যা করব ব্যারাকপুরের মানুষ জানতে পারবে।”
  2. সাংসদের এলাকার মানুষের উপর যে আস্থা যে যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত, তা বার বার বুঝিয়ে দিয়েছেন ক্যামাক স্ট্রিটের বাইরে ভিড় জমানো অর্জুনের অনুগামীরা। সাংসদ ঘর ওয়াপসি করলে এলাকার শাসকদলের নেতাদের সঙ্গে কোনও সমস্যা হবে না বলেই দাবি করেন তাঁর অনুগামীদের।
  3. অর্জুন সিংয়ের টুইটারে বায়োও বদলে যায়। নতুন বায়ো দেখে বোঝার কোনও উপায় নেই, তার সঙ্গে কয়েকঘণ্টা আগেও বিজেপির কোনও যোগ ছিল। এখন টুইটার বায়োতে তিনি কেবল ব্যারাকপুরের সাংসদ।
  4. অর্জুন সিংয়ের বাড়ি থেকে বিজেপির পতাকা খুলে, তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
  5. তৃণমূলে ফেরার পর অর্জুন সিং বলেন, “এই ঘরটা তৈরি হওয়ার দিন থেকে আমি ছিলাম। মাঝে কিছু ভুল বোঝাবুঝির কারণে দল ছেড়ে বিজেপিতে যাই। ওখানে সাংসদ হই। যে এলাকা থেকে আমি রাজনীতি করি, দীর্ঘদিন ধরে পাটের যে সমস্যা, কেন্দ্রের থেকে অবহেলা… রাজ্য থেকে বহু জুট মিল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমি সেই লড়াই করার জন্য বিজেপি নেতৃত্ব এবং মন্ত্রীকে অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি। মুখ্যমন্ত্রী নভেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন জুট মিলের জন্য। ইন্ডাস্ট্রিকে একেবারে রসাতলে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। চাষিরা যদি পাট বিক্রি করতে না পারে, তাহলে ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হবে এবং শ্রমিক ও চাষি উভয় শেষ হয়ে যাবে।”
  6. অর্জুন সি আরও বলেন, “যখনই এই চিঠি আমার কাছে আসে, তখন থেকে এই লড়াই আমি শুরু করে দিই বস্ত্র মন্ত্রকের বিরুদ্ধে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি এই লড়াই এগিয়ে নিয়ে না যান, তাহলে আরও ৭৫ শতাংশ থেকে আমরা বঞ্চিত হব। তাহলে বাংলার আরও ক্ষতি হবে। অনেক চিন্তাভাবনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
  7. বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বকে রবিবার একহাত নেন ব্যারাকপুরের সাংসদ। বললেন, “আমি বিজেপির সাংগঠনিক ব্যবস্থার মধ্য়েও ছিলাম। কিন্তু শুধু ফেসবুকে সংগঠন করে বাংলায় রাজনীতি করা যায় না। মানুষের সঙ্গে থাকতে হয়। আমরা যারা ছোট থেকে রাজনীতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রাজনীতি করে এসেছি, তাদের সমস্যা হচ্ছিল। বাংলার উন্নয়নে রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য কিছু মানুষ আটকে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়। তাঁদের থেকে সবুজ সংকেত পেয়েই আমি এই সিদ্ধান্ত নিই।”
  8. দল বদলের পর এবার কি বিজেপির টিকিটে হওয়া সাংসদ পদ ছেড়ে দেবেন অর্জুন সিং? সেই প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে ব্যারাকপুরের সাংসদ বলেন, “অবশ্যই আমার সাংসদ পদ ছাড়া উচিত। কিন্তু যে বিজেপি অন্যের দিকে আঙুল তুলছে, সেই বিজেপিরই দুই জন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ এখনও রয়েছেন, যাঁরা এখনও ইস্তফা দেননি। ওই দুই সাংসদ ইস্তফা দিলে, আমিও দিল্লিতে গিয়ে ইস্তফা দিয়ে আসব।”
  9. বঙ্গ বিজেপির নেতাদের খোঁচা দিয়ে সাংসদ আরও বলেন, “শুধু এয়ার কন্ডিশন ঘরে বসে বাংলায় রাজনীতি করা যায় না। বাংলায় রাস্তায় নেমে রাজনীতি করতে হয়। শুধু এয়ার কন্ডিশন ঘরে বসে ফেসবুকে রাজনীতি হয় না। বঙ্গ বিজেপির গ্রাফ ক্রমেই নিম্নমুখী হওয়ার কারণ এটাই।”