Partha Chatterjee: ‘পার্থর সঙ্গে অর্পিতার কোনও সম্পর্ক নেই’, দাবি প্রাক্তন মন্ত্রীর আইনজীবীদের

Partha Chatterjee: এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় একাধিকবার দাবি করেছেন বাজেয়াপ্ত হওয়া টাকার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। এদিন ব্যাঙ্কশাল কোর্টে সওয়াল জবাবের সময় এদিন ফের সেই একই দাবি করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীরা।

Partha Chatterjee: ‘পার্থর সঙ্গে অর্পিতার কোনও সম্পর্ক নেই’, দাবি প্রাক্তন মন্ত্রীর আইনজীবীদের
আজ ভার্চুয়ালি আদালতে পেশ পার্থ-অর্পিতার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 05, 2022 | 5:41 PM

কলকাতা: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়য়ের (Arpita Mukherjee) বেলঘরিয়া ও ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা (50 cores Rupees)। তারপর থেকেই ইডি(ED) হেফাজতে দিন কাটছে পার্থ-অর্পিতার। যদিও পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) একাধিকবার দাবি করেছেন, বাজেয়াপ্ত হওয়া টাকার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। এদিন ব্যাঙ্কশাল কোর্টে সওয়াল জবাবের সময় ফের সেই একই দাবি করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীরা। এমনকী পার্থ-অর্পিতার (Partha-Arpita) যে সমস্ত যৌথ সম্পত্তির কথা শোনা যাচ্ছে তা নিয়েও এদিন আদালতের বাইরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সংশয় প্রকাশ করেন পার্থর এক আইনজীবী। একইসঙ্গে তাঁর সাফ দাবি, ‘পার্থ-অর্পিতার কোনও সম্পর্কই নেই’।

একইসঙ্গে অপা ইউটিলিটি কোম্পানি নিয়ে যে সমস্ত তথ্য সামনে আসছে সেগুলিও পরীক্ষা করে দেখার প্রয়োজন রয়েছে বলে দাবি পার্থর আইনজীবীর। পাশাপাশি ট্রাস্টের কোনও তথ্যও তাঁদের কাছে নেই বলে দাবি করেছেন। এদিকে একাধিকবার শোনা যায় ইডির তদন্তে নাকি সহযোগিতা করছেন না রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে পার্থর আইনজীবী জানান, “বারবার বলা হচ্ছে উনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন না! কিন্তু একটা লোককে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু স্টেটমেন্টে সই করানোকে কি সহযোগিতা করা বলে? আমাকে যদি কেউ কোনও ডকুমেন্টে সই করতে বলে যে আদপেই আমি বলিনি, তাতে তো স্বাভাবিকভাবেই আমি সই করব না।” 

এদিকে এদিন আদালতে সওয়াল জবাব শুরু হতেই শোনা যায় প্রভাবশালী তকমা ছাড়তে বিধায়ক পদও ছাড়তে রাজি আছেন পার্থ। সূত্রের খবর আদালতেই এ কথা জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবীরা। এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পার্থর আইনজীবী বলেন, “ইডির কথার পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা এমএলএ পদ ছাড়ার কথা বলেছি। ওরা বলছে পার্থবাবু এখনও বিরাট বড় বিধায়ক। ওঁর প্রভাব আছে। তখনই আমরা বলেছি বেল দিলে আমরা এমএলএ সিট ছেড়েও দিতে পারি।”

একইসঙ্গে তাঁর আরও দাবি, “যে টাকা উদ্ধার হয়েছে তা কোনওভাবেই পার্থবাবুর নয়। একজন রাজনৈতিক নেতার অনেক চেনা পরিচিত থাকে। পার্থ-বাবুর সঙ্গে অর্পিতার কোনও সম্পর্ক নেই। আমার ক্লায়েন্ট বলেছেন কোনও সম্পর্ক নেই। যে যৌথ সম্পত্তির কথা উঠে আসছে সেগুলি প্রমাণ করার প্রয়োজন রয়েছে। সহজ কথায় যে অভিযোগগুলি ওঁর বিরুদ্ধে আনা হচ্ছে সেগুলি প্রমাণ করার প্রয়োজন রয়েছে। উনি আসলেই ভিক্টিম। সিজার লিস্টে অনেক কিছু থাকতেই পারে। সিজার লিস্টে থাকা মানেই সেটা প্রমাণিত নয়।” অন্যদিকে অর্পিতার ৩১ টি এলআইসি-র পলিসিতে নমিনি রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ইডি সূত্রে কয়েকদিন আগে এ তথ্য মিলেছিল। যদিও এদিন এ তথ্যের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে পার্থর আইনজীবীদের।