Kolkata Police: করেছেন এভারেস্ট জয়, লাদাখের একাধিক দুর্গম শৃঙ্গ জয়ের পথে কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার
Kolkata Police: স্নাউট অ্যাডভেঞ্চারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের সঙ্গেই বর্তমানে লাদাখে নতুন শৃঙ্গ জয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন উজ্জ্বলবাবু। কলকাতা থেকে প্রথমে তাঁদের যাওয়ার কথা রয়েছে চণ্ডীগড়ে। সেখান থেকে সরাসরি মানালি।
কলকাতা: “চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর’ রবি ঠাকুরের এই পঙতির হাত ধরেই যেন বারবার ঘর ছেড়েছে বাঙালী। অজানাকে জানা, অচেনাকে চেনার খোঁজে বারাবরই দুর্গম পাহাড়ের পথে পাড়ি দিয়েছে ভ্রমণপিপাসু বাঙালী অভিযাত্রীর দল। ২০১৩ সালে এভারেস্ট জয় করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের তদানন্তীন শ্যামপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ উজ্জ্বল রায়। এবার লাদাখে নতুন কিছু শৃঙ্গ জয় করার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিলেন কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার।
বছর ৫৯-র উজ্জ্বল রায় উত্তরকাশীর নেহেরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং, দার্জিলিংয়ের হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে পর্বতারোহনের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এভারেস্ট ছাড়াও ইতিমধ্যেই একাধিক দুর্গম শৃঙ্গ জয় করার রেকর্ড রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। ভারতের ১১টির বেশি পর্বত চূড়ায় চড়েছেন তিনি। তিনি আবার স্নাউট অ্যাডভেঞ্চারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য। পুলিশে চাকরির পাশাপাশি পর্বতারোহনের নেশা তাঁর দীর্ঘদিনের। সেই নেশার কাঁধে ভর করেই সুযোগ পেলেই বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন দুর্গম পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথ ধরে।
স্নাউট অ্যাডভেঞ্চারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের সঙ্গেই বর্তমানে লাদাখে নতুন শৃঙ্গ জয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন উজ্জ্বলবাবু। কলকাতা থেকে প্রথমে তাঁদের যাওয়ার কথা রয়েছে চণ্ডীগড়ে। সেখান থেকে সরাসরি মানালি। হাওড়া স্টেশন থেকে শুরু হয়েছে যাত্রা। কিছুদিন আগেই বাংলা তথা ভারতের প্রথম মহিলা (India’s First Women) হিসাবে অক্সিজেন ছাড়াই এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন চন্দননগরের পিয়ালি বসাক। এদিকে অক্সিজেন ছাড়া এভারেস্ট জয়ের চেষ্টা এই প্রথম নয়। বিগত কয়েক দশক ধরেই এ চেষ্টা করে চলেছেন দেশ বিদেশের বহু পর্বতারোহী।