Dilip on Babul: ‘কেউ পাত্তা দেয় না… রিজেক্টেড মাল’, বাবুলকে নিয়ে কথাই বলতে চান না দিলীপ
Dilip on Babul: টুইটে বাবুলের মন্তব্যের পরই এই নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, বাবুলের কথার কোনও গুরুত্বই নেই।
কলকাতা: একদিকে দিলীপ ঘোষকে বাংলার বাইরে অন্য রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চিঠি দিয়ে দিলীপ ঘোষকে সংযত হতে বলেছেন বলেই সূত্রের খবর। বাংলার রাজনীতিতে দিলীপ ক্রমশ কোনঠাসা হয়ে পড়ছেন কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। আর সেই আবহে একদিকে যখন দিলীপের প্রতি সুর নরম করেছেন তৃণমূলের অনেক নেতাই, অন্যদিকে তখন দিলীপকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না, একসময় দিলীপের দলে থাকা বাবুল সুপ্রিয়। বিজেপিতে থাকাকালীনই বাবুলের সঙ্গে দিলীপের বিরোধিতা প্রকাশ্যে এসেছে। আর দল ছাড়ার পরও কাদা ছোড়াছুড়ি যে অব্যাহত হয়েছে, সেটা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল। বাবুলকে জবাব দিতে গিয়ে ‘রিজেক্টেড মাল’ বলে উল্লেখ করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
সূত্রের খবর, সংবাদমাধ্যমের সামনে কথা বলার আগে সংযত হতে বলা হয়েছে দিলীপ ঘোষকে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নির্দেশে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই পুরনো বিরোধে শান দিয়ে বাবুল সুপ্রিয় টুইটে লেখেন, দিলীপের মন্তব্য়ে সারাদিন মানুষ দু দণ্ড হাসির খোরাক পেত। চিঠি দিয়ে ‘রগড়ে’ সেটাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বাবুল। আর প্রতিদিন সকালে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ যা বলেন, তাকে ‘বাণীর-প্রাতঃকৃত্য’ বলেও কটাক্ষ করেছেন বাবুল।
পরশুদিনই লিখেছিলাম যে শ্রী @DilipGhoshBJP ‘Verbal Diarrhoea-র রুগী•তাঁর কোনো লজ্জা নাই, চিকিৎসাও নাই• বেশ চলছিল রোজ ভোরবেলা ‘বাণীর-প্রাতঃকৃত্য – সারাদিন মানুষ তাতে দুদণ্ড হাসির খোরাক পেতো•চিঠি দিয়ে ‘রগড়ে’ দিয়ে সেটাও বন্ধ করে দিল•অবশ্য এমনিতেও আন্দামানে পাচার-order হয়েছিল pic.twitter.com/ZmdWwzBM7y
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) May 31, 2022
বুধবার সকালে ইকোপার্কে সংবাদমাধ্যমের তরফে সেই প্রশ্ন করা হলে উত্তরই দিতে চাননি দিলীপ। তিনি বুঝিয়ে দেন বাবুলের কথাকে তিনি কোনও গুরুত্ব দিতে চান না। এ দিন বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘কী বলব? যিনি ন্যাশনাল লিগ ছেড়ে প্রাইমারি লিগে খেলছেন, তাঁর কথায় কেউ পাত্তা দেয় না। রিজেক্টেড মাল একটা।’
উল্লেখ্য, তৃণমূলের আর এক নেতা কুণাল ঘোষ এই প্রসঙ্গে যা বলেছেন, তা থেকে মনে হচ্ছে, তিনি দিলীপের প্রতি সমব্যাথী। কেন্দ্রীয় বিজেপির নির্দেশ অমান্য করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি বিজেপি নেতাকে। যদিও সে সব কথাতেও কান দিচ্ছেন না সাংসদ। তাঁর দাবি, কুণালের উচিত নিজের দল নিয়েই ভাবা।