Babul Supriyo: টেন্ডারে দুর্নীতির অভিযোগ, বাবুলের প্রাক্তন আপ্তসহায়কের বিরুদ্ধে মামলা সিবিআইয়ের
CBI Probe in Corruption Case: বাবুল সুপ্রিয়র প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক সুশান্ত মল্লিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল সিবিআই। ২০১৬-১৭ সালের মধ্যে ভারী শিল্প ও পাবলিক এন্টারপ্রাইজ মন্ত্রকের অধীনে চুক্তি প্রদানে দুর্নীতির অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কলকাতা ও নয়া দিল্লি : এবার দুর্নীতির ইস্যুতে অস্বস্তিতে বাবুল সুপ্রিয়। বাবুল সুপ্রিয়র প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক সুশান্ত মল্লিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল সিবিআই। ২০১৬-১৭ সালের মধ্যে ভারী শিল্প ও পাবলিক এন্টারপ্রাইজ মন্ত্রকের অধীনে চুক্তি প্রদানে দুর্নীতির অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সিবিআইয়ের ওই এফআইআরে নাম রয়েছে বাবুল সুপ্রিয়র প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক সুশান্ত মালিকের। উল্লেখ্য, ২০১৬-১৭ সালের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। পরে তিনি সাংসদ পদ ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দেন এবং সম্প্রতি বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে, মেসার্স আশুতোষ বন্দোপাধ্যায়কে ২০১৬-১৭ সালে ৪০ লক্ষ টাকা ঘুষের পরিবর্তে টেন্ডার পাওয়া দেওযা হয়েছিল। এর মধ্যে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে বাবুল সুপ্রিয়র প্রাক্তন ওই আপ্ত সহায়ক সুশান্ত মল্লিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঁচ লাখ টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যদিও বাবুল সুপ্রিয়কে এখনও এই ঘটনায় অভিযুক্ত করেনি। তবে মামলায় ‘অজ্ঞাত সরকারি কর্মচারীদের’ বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। মামলার এফআইআরে বলা হয়েছে,”ইপিআইএলের তৎকালীন সিএমডি এস পি এস বক্সি, তৎকালীন এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হরচরণ পাল, তৎকালীন গ্রেড-২ ম্যানেজার পরিতোষ কুমার প্রবীণ এবং তৎকালীন চুক্তিভিত্তিক ডিজিএম আর এস ত্যাগী এই চক্রান্ত করেছিলেন এবং আশুতোষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন ২০১৬ -১৭ সালের টেন্ডারগুলি পাইয়ে দেওয়ার জন্য।”
ওই এফআইআরে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, “পরবর্তীকে খতিয়ে দেখে জানা গিয়েছে যে এস পি এস বক্সি তৎকালীন চুক্তিভিত্তিক ডিজিএম আর এস ত্যাগীর মারফত আশুতোষ বন্দোপাধ্যায়কে জানিয়েছিলেন যে ওই ঘুষের ৪০ লাখ টাকার মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা তৎকালীন ভারী শিল্প ও পাবলিক এন্টারপ্রাইজ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রীর সহায়ক সুশান্ত মল্লিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করার জন্য। সেই অনুযায়ী, আশুতোষ বন্দোপাধ্যায় ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সুশান্ত মল্লিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঁচ লক্ষ টাকা ট্রান্সফার করে দেয়। ”
এই বিষয়ে বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “দুদিন আগে আমাদের দলে ছিলেন। তখন এসব অভিযোগ শুনিনি। এখন অন্য দলে গিয়েছে বলেই কুৎসা করব না৷ যারা অভিযোগ করেছেন, তদন্ত চলুক। সত্য সামনে আসবে।” অন্যদিকে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই বিষয়ে জানিয়েছেন, “বাবুল সুপ্রিয় যেহেতু বিজেপিতে ছিলেন, এবং যেহেতু তিনি সাংসদ পদ ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন, ফলে বিজেপি যে তাঁর উপর রুষ্ট হয়েছেন, এটা স্বাভাবিক। এমনকী বিজেপির প্রতিনিধিত্ব করা জগদীপ ধনখড় পর্যন্ত বাবুলে শপথ নেওয়া ঘিরে জলঘোলা করছেন। সেই সব সূত্রেই কোথাও কিছু হচ্ছে কি না, সেই বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নেব।”