BJP: বাংলা ভাগের কথা বলা বিজেপি বিধায়ককে কেন বহিষ্কার নয়? প্রশ্ন ‘নির্বাসিত’ চন্দ্রশেখরের

BJP Bengal: ফের উঠেছে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের জিগির। এবার এক বিজেপি বিধায়ক এনিয়ে চিঠি লিখে ফেলেছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে। যা নিয়ে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে বিঁধলেন বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর বাসোটিয়া (Chandra Sekhar Basotia)।

BJP: বাংলা ভাগের কথা বলা বিজেপি বিধায়ককে কেন বহিষ্কার নয়? প্রশ্ন 'নির্বাসিত' চন্দ্রশেখরের
দলীয় নেতৃত্বকে তোপ বহিষ্কৃত বিজেপি নেতার। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 06, 2021 | 8:15 PM

কলকাতা: ফের উঠেছে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের জিগির। এবার এক বিজেপি বিধায়ক এনিয়ে চিঠি লিখে ফেলেছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে। যা নিয়ে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে বিঁধলেন বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর বাসোটিয়া (Chandra Sekhar Basotia)। তাঁর অভিযোগ, বাংলা ভাগের কথা বলে দলীয় অনুশাসন ও অবস্থানকে অগ্রাহ্য করেছেন কার্শিয়াংয়ের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা (Bishnuprasad Sharma)। পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব হওয়া এই বিধায়ককেও বিজেপি বহিষ্কার করবে তো? কটাক্ষ কলকাতা পুর ভোটে টিকিট না পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠা এই বিজেপি নেতা।

চন্দ্রশেখর বাসোটিয়ার কথায়, “আবার আমাদের একজন এমএলএ, কার্শিয়ংয়ের বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুললেন। আমি অমিতাভদাকে বলব, উনিও তো দলের আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে। ওঁনাকে পার্টি থেকে বহিষ্কৃত করা হবে তো?”

তিনি যোগ করেন, “আমাদের দলে ঘোষণাপত্রে লেখা ছিল, গোর্খাল্যান্ডের যে মানুষ আছে, তাঁদের অসুবিধা নিয়ে চিন্তাভাবনা করব। কিন্তু কোনওদিন আমরা বাংলা ভাগ হতে দেব না। কিন্তু আজ উনি (বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা) প্রকাশ্যে বলেছেন যে উনি পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি করছেন।” তাই বিজেপি বিধায়ককেও বহিষ্কারের দাবি তুললেন। বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত এই নেতা আরও অভিযোগ করেন, কিছুদিন আগে এক বিজেপি সাংসদও বলেছিলেন যে উনি দলের নিয়মের তোয়াক্কা করেন না। কিন্তু তাঁকেও এর জন্য শো-কজ করা হয়নি। আর তিনি ‘পূর্ণ কর্মী’ হওয়া সত্ত্বেও, তাঁর কোনও লবি না থাকা সত্ত্বেও তাঁকে বহিষ্কার করেছে দল!

উল্লেখ্য, বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ জানিয়েছেন, পাহাড়ের মানুষের সঙ্গে কথা বলার পর তাঁদের মনোভাব ও আবেগে বিশেষ নজর দিতে তিনি নাড্ডাকে এই চিঠি লিখেছেন। তিনি জানান, উত্তরবঙ্গের মানুষ বঞ্চনার শিকার। উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন থমকে গিয়েছে। তাই পৃথক রাজ্যের দাবি ন্যায়সঙ্গত। কার্শিয়াঙের বিধায়কের কথায়, “উত্তরবঙ্গের মানুষ বারবার বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে আমি সরাসরি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠি দিয়েছি। এখানে রাজ্য বিজেপির কোনও হাত নেই।”

এ নিয়েই প্রতিক্রিয়া দিলেন ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের নেতা চন্দ্রশেখর বাসোটিয়া। উল্লেখ্য, চন্দ্রশেখর বাসোটিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি। টাকার বিনিময়ে বিজেপি প্রার্থীদের টিকিট দিয়েছে, এমন অভিযোগ দলের অন্দরে আগেও উঠেছে। এ নিয়ে রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে গিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন টিকিট না পাওয়া চন্দ্রশেখর বাসোটিয়া। তার পর তাঁকে বহিষ্কার করে দল। এ নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘আমার দুর্ভাগ্য যে আমি বড় বড় নেতাদের বাড়িতে গিয়ে দালালি করতে পারছি না। দুর্ভাগ্য আমার যে, গভীর রাতে তাঁদের কোনও সুবিধা দিতে পারছি না।’ তাই অন্য দল থেকে আসা নেতাকে টিকিট দেওয়া হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

আরও পড়ুন: BJP: ‘ভোটের আগেই তো হেরে বসে আছেন!’ বিজেপি পুর-প্রার্থীদের ভর্ৎসনা অমিতের