তৃণমূলের ‘মুষল পর্বই’ বিজেপির তুরুপের তাস! ছক কষতে আজ দিল্লিতে দিলীপ-মুকুলরা

রাজনৈতিক মহলের দাবি, তৃণমূলের কোর টিম থেকে বেরিয়ে বিজেপিতে যাওয়া নেতারা গেরুয়া শিবিরের তুরুপের তাস।

তৃণমূলের 'মুষল পর্বই' বিজেপির তুরুপের তাস! ছক কষতে আজ দিল্লিতে দিলীপ-মুকুলরা
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jan 15, 2021 | 3:42 PM

কলকাতা: একদিকে রাজীব, বৈশালী, শতাব্দীদের ‘বিদ্রোহ’ যখন তৃণমূলের (Trinamool Congress) অন্দরে অস্বস্তি বাড়াচ্ছে, তখন বিজেপি (BJP) কিন্তু শক্ত হাতে নিজেদের সংগঠন সাজাচ্ছে। ভোটের আবহে অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা বঙ্গ বিজেপিকে ২০০ পারের যে সীমা বেঁধে দিয়েছেন, তা ছুঁতে মরিয়া দলও। শনিবারই রণকৌশল ঠিক করতে সল্টলেকের ইজেডসিসিতে দলীয় জেলা সভাপতিদের ডেকে পাঠিয়েছে বিজেপি। তার আগে শুক্রবার দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়রা। বিজেপির অন্দরের খবর, অমিত শাহ বা জেপি নাড্ডার সঙ্গে শনিবারের বৈঠক নিয়ে এক প্রস্থ আলোচনা করতেই বঙ্গ-নেতাদের দিল্লি সফর। শীর্ষনেতৃত্বের তৈরি করে দেওয়া রোডম্যাপ ধরেই এগোতে চাইছে বঙ্গ ব্রিগেড।

গত কয়েকদিনে একাধিকবার বাংলায় এসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বারবারই দাবি করেছেন, একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপি বাংলায় ২০০টির বেশি আসনে জিতবে। একই দাবি তুলে বৃহস্পতিবার কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, বঙ্গ জয় তাঁদের নিশ্চিত। কম করে ৫০ জন বিধায়ক নাকি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।

আরও পড়ুন: শতাব্দীর বিষয় দল দেখছে বললেন সৌগত, দিলীপ জানিয়ে রাখলেন স্বাগত

রাজনৈতিক মহল বলছে, বিজেপির যে হাওয়া তাতে এই মুহূর্তে ভোট হলে ভালই বেগ পেতে হবে তৃণমূলকে। সূত্রের খবর, তৃণমূলের অন্দরের একাধিক সমীক্ষাও ইঙ্গিত দিয়েছে, এখন নির্বাচন হলে দলের আসন কিছুটা কমবে। আর তার লাভের গুড় পুরোটাই খাবে বিজেপি। এ নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্যও ইঙ্গিতপূর্ণ, “এই মাসটা যেতে দিন। মানুষ বুঝে যাবেন ভোটের ফলাফল কী হতে চলেছে।”

তৃণমূলের একাধিক মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদ যেভাবে দলের একাংশের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন, তাতে আগামিদিন যে শাসকদলের জন্য খুব একটা সহজ হবে না তা সহজেই অনুমেয়। তবে বিজেপি কিন্তু কড়া ‘হোম ওয়ার্কে’ মন দিয়েছে। একেবারে বুথস্তর থেকে সংগঠনকে জোরাল করছে। দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তন বসুদের এখন যোগ্য সঙ্গত দিচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী, শোভন চট্টোপাধ্যায়রা। যাঁরা একটা সময় তৃণমূলনেত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত ছিলেন। বিজেপি যে এখনই কতটা আত্মবিশ্বাসী তার ইঙ্গিত মিলেছে কৈলাসের কথায়, “আমরা যদি আস্থা ভোটে যাই সরকার পড়ে যাবে। তবে এসব আমরা ভাবছি না। কাকে নেব দলে তা বাছাই করতে হবে।”

রাজনৈতিক মহলের দাবি, তৃণমূলের কোর টিম থেকে বেরিয়ে বিজেপিতে যাওয়া নেতারা গেরুয়া শিবিরের তুরুপের তাস। সেই সমস্ত তাসকে সামনে রেখে ভোট বৈতরণী পার করতে চাইছে বিজেপি। একইসঙ্গে তাদের মত, এই তাসের সংখ্যা যদি বাড়তে থাকে, তা হলে বিধানসভা ভোটে কঠিন থেকে কঠিনতর লড়াইয়ের মুখে পড়তে হবে রাজ্যের শাসকদলকে।