CPIM: ‘বিজেপির চেয়ে বামেরা শক্তিশালী হওয়া ভাল’, খোঁচা দিয়েও প্রশংসা সৌগতর

CPIM: সেলিম ব্রিগেডের ‘চাল’ খুব একটা কাজে আসবে না বলেই দাবি সৌগতর। দিনের শেষে মমতাই যে আদপে মুসলিম সমনাজের ‘ত্রাতা’ তাও এদিন ফের একবার সোচ্চারে বলতে দেখা যায় তাঁকে।

CPIM: ‘বিজেপির চেয়ে বামেরা শক্তিশালী হওয়া ভাল’, খোঁচা দিয়েও প্রশংসা সৌগতর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 21, 2022 | 5:28 PM

কলকাতা: মঙ্গলবার ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলের রং হয়ে গিয়েছিল লাল। বামেদের (CPIM) লাল পতাকায় ঢাকা পড়েছিল শহরের অন্যতম ব্যস্ত এলাকা। আনিস খান (Anish Khan), মৈইদুল মিদ্দা, সুদীপ্ত গুপ্ত, স্বপন কোলে ও সাইফুদ্দিনের বিচার চেয়ে পথে নেমেছিল সিপিএম-এর ছাত্র-যুব সংগঠন এসএফআই (SFI) ও ডিওয়াইএফআই (DYFI)। “২০১১ সালে ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার পর এটাই ওদের বৃহত্তম সমাবেশ।” মঙ্গলের বিকালে এ কথা বলেছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এবার যেন একই সুরে অল্প হলেও বামেদের প্রশংসা করতে দেখা গেল তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে (Trinamool MP Saugata Roy)। তাঁর সাফ দাবি, “বিজেপি শক্তিশালী হওয়ার চেয়ে বামেরা শক্তিশালী হওয়া ভাল।” 

আকারে ইঙ্গিতে সিপিএমের প্রশংসা করলেও এদিন সমালোচনাও করেন সৌগত। তিনি বলেন, আগে সিপিএম ভুল করেছিল। ওরা স্লোগান দিয়েছিল আগে রাম পরে বাম। লক্ষ্য ছিল আগে তৃণমূলকে হারাতে হবে। তাতে ওদের ভোটটা চলে গিয়েছিল বিজেপিতে। এখন সেটা ওরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। বিশেষ করে যেহেতু বিজেপি যুব-ছাত্র সংগঠন খুব দুর্বল। সে কারণেই বামেরা কিছু ছাত্র-যুবকে ডাকতে সক্ষম হয়েছে।” প্রসঙ্গত, আনিস খানের মৃত্যুর পর থেকে আনিস পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বারবারই হওড়ায় ছুটে গিয়েছেন বাম নেতারা। ছুটে গিয়েছে ছাত্র-যুব নেতারাও। গতকাল ইনসাফ সভায় আনিসের নামে গান গাইতে দেখতে গিয়েছে বাম-ছাত্র যুবদের। এটাও নিয়েও এদিন সমালোচনা করেন সৌগত।  

“বিজেপি শক্তিশালী হওয়ার চেয়ে বামেরা শক্তিশালী হওয়া ভাল”

সৌগত বলেন, “একটা রাজনীতি ওরা করছে যা আদপে আধা সাম্প্রদায়িক। এটা মূলত ওরা মুসলিম সমাজকে আকৃষ্ট করার জন্য বলছে। সেলিম মূলত আইএসএফ ও ফুরফুরা শরিফদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার পক্ষে ছিলেন। আইএসএফ দুর্বল হয়ে গিয়েছে। সেই জায়গাটা মুসলিম সমাজে নেওয়ার চেষ্টা খানিক সেলিম করছে। তবে তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ এর থেকে ১০ গুণ বেশি ছিল। তবে বিজেপির সমাবেশের তুলনায় এটা ভালই হয়েছে।” এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, “বিজেপি শক্তিশালী হওয়ার চেয়ে বামেরা শক্তিশালী হওয়া ভাল। বামেরা ধর্মনিরপেক্ষ। ওরা অত্যাচারী ছিল, অগনতান্ত্রিক ছিল কিন্তু ওরা সাম্প্রদায়িক এটা আমি বলতে পারব না। তাই বিজেপির তুলনায় বামেদের এগিয়ে রাখব।” 

সেলিম ব্রিগেডের এই ‘চাল’ কাজে আসবে না 

তবে সেলিম ব্রিগেডের এই ‘চাল’ খুব একটা কাজে আসবে না বলেই দাবি সৌগতর। দিনের শেষে মমতাই যে আদপে মুসলিম সমনাজের ‘ত্রাতা’ তাও এদিন ফের একবার সোচ্চারে বলতে দেখা যায় তাঁকে। সৌগত বলেন, “মুসলিম সমাজকে আকৃষ্ট করার জন্য ইনসাফ সভার ডাক দেওয়া হয়। তবে এসব করে কিছু হবে না। মুসলিম সমাজ বোঝে যে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের নিরাপত্তা ও উন্নয়ন দুই নিশ্চিত করতে পারবেন। তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যালঘু ভোটের ৮০-৯০ শতাংশ পেয়ে যায়। বিজেপি সেখানে কিছু পায় না। সেখান থেকে বামেরা যদি ৫-১০ শতাংশ ভোট ওরা নিলে তাতে খুব একটা কিছু এসে যাবে না।”