BJP: কেন্দ্রকে ‘টেকেন ফর গ্র্যান্টেড’ নিলে ভুল হবে, রাজ্যকে স্মরণ করালেন রাজ্যবর্ধন
BJP in Kolkata: রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌর এদিন বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকার লাগাতার মানুষের কথা ভেবে কাজ করছে। রাজ্য সরকার কেন্দ্রকে 'টেকেন ফর গ্র্যান্টেট' ধরে না এগোনোই ভাল। এই দেশে আইন মেনে চলতে হবে সবাইকে।"
কলকাতা: বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে তুলকালাম হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। দিল্লি থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিশেষ প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে রাজ্যে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখার জন্য। পাঁচ সদস্যের ওই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম শনিবার দুপুরে হেস্টিংসে বিজেপির অফিসে সাংবাদিক বৈঠকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানায় রাজ্যের শাসক দলকে। সাংবাদিক বৈঠকের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিশানায় রাজ্য সরকার ও রাজ্য পুলিশ। বিজেপির পাঠানো ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের অন্যতম প্রতিনিধি রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌর এদিন বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার লাগাতার মানুষের কথা ভেবে কাজ করছে। রাজ্য সরকার কেন্দ্রকে ‘টেকেন ফর গ্র্যান্টেড’ ধরে না এগোনোই ভাল। এই দেশে আইন মেনে চলতে হবে সবাইকে। সাধারণ মানুষ এই রাজ্যের সরকারকে বুঝিয়ে দেবে, যে সঠিক ভাবে কাজ করে, তাকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়।”
উল্লেখ্য, দিল্লি থেকে বিজেপি যে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে, তাঁদের মধ্যে রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌর ছাড়াও রয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ ব্রজলাল (উত্তর প্রদেশ), লোকসভার সাংসদ অপরাজিতা সারেঙ্গি, রাজ্যসভার সাংসদ সমীর ওরাও, পঞ্জাবের সুনীল জাখার।
রাজ্য পুলিশ এবং রাজ্যের শাসক দল মিলে মিশে গিয়েছে বলে যে অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে বিরোধীরা তুলে আসছেন, সেই প্রসঙ্গ বার বার ঘুরে ফিরে আসে শনিবার বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির প্রতিনিধিদের কথায়। বিজেপির নেতাদের সাফ প্রশ্ন, “দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা যাবে না? গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করা যাবে না?” ৬৫ বছরের এক প্রৌঢ়ার ঘাড়ে মারা হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন বিজেপি নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, “পুলিশ মহিলাদের উপর বাহাদুরি দেখাচ্ছে। এই জুলুমবাজি চলবে না। আগামী ভোটে তৃণমূলকে সবক শিখিয়ে দেবে এখানকার মানুষ।” সেই সঙ্গে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের আরও সংযোজন, “পুলিশ আর তৃণমূল মিলে মিশে এক হয়ে গিয়েছে। সরকারি ক্ষমতা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে। দুর্নীতি, অত্যাচার আর অহঙ্কার বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ করব।”
সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি নেতারা বলেন, “২০২৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটে এবং ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটে আমাদের কর্মীরা যোগ্য জবাব দেবেন। আমাদের কর্মীরা ভয় পাবে না, উৎসাহ হারাবে না। এখানে প্রশাসনিক আধিকারিকরা তৃণমূলের ক্যাডার হয়ে কাজ করছেন।” তাঁদের প্রশ্ন, “এখানে পুলিশ আর গুণ্ডা একসঙ্গে কাজ করলে মানুষকে কে রক্ষা করবেন?”