Sukanta Majumdar: পার্থের সঙ্গে ভালবাসার সম্পর্ক, তাই পুষিয়ে দিচ্ছেন কুণাল: সুকান্ত

Sukanta Majumdar: "পার্থবাবু আমার বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র করেছেন। আমাকে পাগল বলেছিলেন। আমার যন্ত্রণাবিদ্ধ অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, যেন ওনাকে কোনও বাড়তি সুবিধা না দেওয়া হয়।” চলতি সপ্তাহের শুরুতে এ কথা বলতে শোনা যায় কুণালকে।

Sukanta Majumdar: পার্থের সঙ্গে ভালবাসার সম্পর্ক, তাই পুষিয়ে দিচ্ছেন কুণাল: সুকান্ত
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 07, 2022 | 6:26 PM

কলকাতা: পার্থর চট্টোপাধ্য়ায়ের (Partha Chatterjee) গ্রেফতারির পর থেকেই অস্বস্তি বেড়েছে শাসক তৃণমূলের (Trinamool Congress)। এদিকে পার্থ ইস্যুতে লাগাতার রাজ্য বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের। এদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হতেই বক্রোক্তি করতে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে (Trinamool spokesperson Kunal Ghosh)। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিস্তর চাপানউতর শুরু হয়। এদিকে দলীয় ভাবে ঘোষণা করা না হলেও সূত্রের খবর, বর্তমানে পার্থ ইস্যুতে কোনও প্রকার মন্তব্য করতে কুণালকে ‘নিষেধ’ করা হয়েছে। সেন্সর করা হয়েছে ১৪ দিনের জন্য। যা নিয়েও জোরদার চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে। এবার পার্থ-কুণাল নিয়ে একযোগে তোপ দাগতে দেখা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar)।

প্রসঙ্গত, বিতর্কের আবহেই রবিবার কুণাল বলেন, “আমি বোরোলিন নিয়ে চলি যাতে জীবনের ওঠাপড়া যেন সহজে গায়ে না লাগে। আমি কঠিন দিনের সৈনিক, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু আমার সেনাপতি নন, তাঁকে আমি ভালবাসি।” এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এদিন তীব্র কটাক্ষবাণ শানিয়ে সুকান্ত বলেন, “কুণালবাবু আর পার্থবাবুর বিশেষ ভালোবাসার সম্পর্ক, সেই জন্য একে অপরকে বলেন। যখন কুণালবাবু জেলে গিয়েছিলেন তখন পার্থবাবু দিয়েছিলেন, এখন পার্থ বাবু জেলে আছেন আর কুণালবাবু পুষিয়ে  দিচ্ছেন।” সুকান্তর এ মন্তব্য নিয়েও জোরদার চাপানউতর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। 

চলতি সপ্তাহের শুরুতেই তৃণমূল মুখপাত্র কুণালকে বলতে শোনা যায়, “পার্থবাবু আমার বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র করেছেন। আমাকে পাগল বলেছিলেন। আমার যন্ত্রণাবিদ্ধ অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, যেন ওনাকে কোনও বাড়তি সুবিধা না দেওয়া হয়। আমি আশা করব জেল কর্তৃপক্ষ ওনাকে একদম সাধারণ বন্দির মতো ট্রিটমেন্ট দেবে। আমার ক্ষেত্রে যা যা নিয়ম হয়েছে, তাই তাই হবে। কোনও জেল হাসপাতাল নয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সেলে রাখতে হবে।” যা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল নানা মহলে। অস্বস্তি বেড়েছিল শাসক দলের। এদিকে এরপরই শনিবারই সাংবাদিক সম্মেলনে কুণাল বলেন, “দলের মুখপাত্র হিসাবে নয়, দলের সদস্য হিসাবে নয়, একদম ব্যক্তিগতভাবে আমি মন্তব্য করেছিলাম”। যদিও তারপরেও থামেনি বিতর্ক। তবে পার্থ জেলে গেলেও এখনও পার্থর ছায়া যে তৃণমূলের অন্দরে ভালমতোই বিদ্যমান তা কুণালের সেন্সরের ঘটনা থেকে পরিষ্কার বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একটা বড় অংশ।