কলকাতা : যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh) গ্রেফতার হতেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে রোজই দেখা যাচ্ছে নিত্য-নতুন নাম। চাকরিপ্রার্থীদের থেকে ১৯ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া অভিযোগ উঠেছে কুন্তলের বিরুদ্ধে। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কুন্তলের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এ ঘটনায় নাম জড়িয়েছে ডিএলএড কলেজগুলির সংগঠনের সভাপতি তাপস মণ্ডলের। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই কুন্তলের খোঁজ পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। শুধু কুন্তলরা নয়, এর সঙ্গে যুক্ত তৃণমূলের অনেক ‘বড় মাথারাই’। বিগত কয়েকদিন লাগাতার এ দাবি করতে দেখা গিয়েছে পদ্ম নেতাদের। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (BJP Leader Sukanta Majumdar) দাবি, ‘তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ এরা পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত। যুক্ত রয়েছে তৃণমূলের (Trinamool Congress) বিধায়করাও।’ এদিন নদিয়ার (Nadia) সভা থেকে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তৃণমূলের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগতে দেখা যায় সুকান্তকে। তাঁর সাফ দাবি, তৃণমূলের একজন বিধায়ক রয়েছেন, যিনি ভাল গান-টান করেন। তাঁর বাড়ির লোকজনও এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত।
এদিন নদিয়ার সভা শেষে সংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত বলেন, “তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ এরা পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত। এদের সঙ্গে আরও অনেকে বড় মাথা আছে। একজন বিধায়কের স্বামী যুক্ত। আমাদেক কাছে সমস্ত খবর আছে। আমরা তথ্য-প্রমাণ পেলেই আপনাদের সামনে নিয়ে আসব। ইডি-সিবিআই তাঁকে খুঁজছে। ধরা পড়বেই, চিন্তার কিছু নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের একজন বিধায়ক আছেন, ভাল গান-টান করেন, তাঁর বাড়ির অনেক লোকজন এর সঙ্গে যুক্ত আছেন।”
প্রসঙ্গত, টেট থেকে শুরু করে নবম-দশম, দ্বাদশ-একাদশ, গ্রুপ সি, গ্রুপ-ডি নিয়োগ সহ একাধিক ক্ষেত্রে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল। আদালতে ইতিমধ্যেই এ তথ্য জানিয়েছে ইডি। সূত্রের খবর, প্রাইমারির প্রার্থীদের নিয়োগপত্র জোগাড়ে ১০ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকার লেনদেন করেছে কুন্তল। ইডি জেরায় এমনটাই জানিয়েছে। আপার প্রাইমারির নিয়োগ খাতে তিন কোটি ৩০ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার লেনদেন করেছে বলে খবর। টেট (২০১৪) খাতে ৩ কোটি ২৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে বলে খবর। এরইমধ্যে সুকান্তর দাবি ঘিরে নতুন করে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।