BJP Protest in Assembly: রাষ্ট্রপতিকে কু-মন্তব্যের জের, বিধানসভায় হট্টগোল, বিজেপির মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ স্পিকারের
BJP Protest in Assembly: এ দিন, শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পলের নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা (MLA) নিজেদের আসনের সামনে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।
কলকাতা: রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে কারা মন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্যের জল গড়াল বিধানসভাতেও। রাজ্যের মন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে অপমান করেছেন, এই অভিযোগে সোমবার বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব জমা দিল বিজেপি। যদিও, প্রস্তাব খারিজ করেছেন স্পিকার।এ দিন, শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পলের নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা (MLA) নিজেদের আসনের সামনে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে বাইরে বেরিয়ে আসেন তাঁরা।
আজ বিশেষ পোশাকে বিধানসভায় উপস্থিত হন পদ্ম-বিধায়করা। প্রত্যেকের গলায় ছিল রাষ্ট্রপতির ছবি, এছাড়াও আদিবাসী উত্তরীয় পরিধান করেছিলেন তাঁরা। বিজেপি বিধায়কদের একটাই দাবি, অখিল গিরিকে মন্ত্রী সভা থেকে বরখাস্ত করতে হবে।
তবে শুধু রাষ্ট্রপতিই নয়, পাশাপাশি বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গার উদ্দেশেও অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন পদ্ম বিধায়করা। এই বিষয়ে বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ বলেন, ‘কয়েকদিন আগে রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে যে অপমানজনক মন্তব্য করেছিলেন অখিল গিরি। তাঁর বরখাস্তের দাবি জানিয়ে বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ করছি।’ অপরদিকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘ওরা শাসক না বিরোধী নিজেরাই জানে না। ওরা গতবারও ছবি নিয়ে এসে বিক্ষোভ করেছে। তবে এটা শাসকদলের বিধায়করা করতে পারেন না। এমনকী মন্ত্রীরা নিজেদের আসন ছেড়ে উঠে বিধানসভা অচল করেন। ওরাই আজকে আমাদের সাহায্য করেছে হাউস মুলতুবি করতে। সেই কারণে তৃণমূলের বিধায়কদের ধন্যবাদ। আমাদের ওয়াক আউট করতে হয়নি। স্পিকার বাধ্য হয়েছেন মুলতুবি করতেন।’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আজকের পুরো দিন আমরা রাষ্ট্রপতির জন্য লড়ব। দ্বিতীয়ার্ধেও বিক্ষোভ দেখাব।’ অপরদিকে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘অখিল গিরি এই ধরনের মন্তব্য এর আগেও করেছেন। এবার রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে মন্তব্য করলেন। তাই ওনাকে প্রায়ঃশ্চিত্ত করতে হবে।’
অপরদিকে, অখিল গিরি বলেন, ‘গত কয়েকমাস ধরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আমার সম্পর্কে যেভাবে কুৎসা করেছেন, আমার চেহারাকে নিয়ে নানা মন্তব্য করেছেন। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কেও মন্তব্য করেছেন, তাই উত্তেজনার বসে আমি এই ধরনের কথা বলে ফেলেছিলাম। তার জন্য আমি নিজে অনুতপ্ত ও ক্ষমাপ্রার্থী। তবে শুভেন্দু অধিকারী নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে অহেতুক বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা করছেন।’
তবে একা গেরুয়া শিবির নয়, প্রতিবাদে নেমেছে তৃণমূলও। বীরবাহা হাঁসদার নেতৃত্বে তৃণমূল বিধায়করাও পাল্টা স্লোগান দিতে থাকেন। মূলত, তৃণমূলের মহিলা বিধায়করা এদিন স্লোগান দিচ্ছিলেন।