SSC Scam: ভ্যানে জেল বন্দি ‘পার্থ’, বিজেপির মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার! আহত যাদবপুর থানার ওসি

SSC Scam: মিছিল আটকাতেই যাদবপুর থানা ঘিরে ফেলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। প্রায় ঘন্টা খানকের বেশি সময় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে থানা মোড়।

SSC Scam: ভ্যানে জেল বন্দি ‘পার্থ’, বিজেপির মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার! আহত যাদবপুর থানার ওসি
ছবি - বিজেপির মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার যাদবপুরে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 28, 2022 | 8:09 PM

যাদবপুর: এসএসসি দুর্নীতির প্রতিবাদে(Protest against SSC corruption) গোটা রাজ্যেই রাস্তায় নেমেছে বিরোধীরা। মাঠে নেমেছে বাম, কংগ্রেস, বিজেপি। এদিকে এসএসসি কেলেঙ্কারি নিয়ে বিজেপির (BJP) মিছিলকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল যাদবপুরে। অনুমতি থাকার পরেও কেন মিছিল আটকাল পুলিশ? এই প্রশ্ন তুলে দফায় দফায় যাদবপুর থানা ঘেরাও করল বিজেপি কর্মীরা। ধস্তাধস্তিও হল পুলিশের সঙ্গে। আহত হয়েছেন যাদবপুর থানার ওসি বিনোদ কুমার। এদিন সেলিমপুর থেকে যাদবপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় পদ্ম শিবিরের মিছিল। জীবনানন্দ সেতু পার করে মিছিল আটকাতেই পথ আটকায় যাদবপুর থানার পুলিশ। শুরু হয় ব্যাপক ধস্তাধস্তি। 

এদিকে এই মিছিলেই একটি ভ্যানে প্রতীকী জেলের আদলে তৈরি করা হয় একটি খাঁচা। যাতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর মুখোশ পরে বসে ছিলেন এক বিজেপি সমর্থক। সঙ্গে ছিল পরেশ অধিকারী, অনুব্রত মন্ডলের ছবিও। একইসঙ্গে তৃণমূল সরকারকে খোঁচা দিতে চপ মুড়ি নিয়েও হাঁটেন বিজেপি সমর্থকেরা। পদ্ম সমর্থকদের দাবি, এই ভ্যান দেখেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে পুলিশ। ভেঙে দেওয়া হয় ভ্য়ানটি। পাল্টা ঝাঁপিয়ে পড়েন বিজেপি সমর্থকেরা। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে হাতাহাতি হয় দু-পক্ষের মধ্যে। তাতেই ওসি সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী। ওসি বিনোদ কুমারের ডান হাঁতে চোট লেগেছে বলে জানা যাচ্ছে। 

এদিকে এ ঘটনার পর যাদবপুর থানা ঘিরে ফেলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। প্রায় ঘন্টা খানকের বেশি সময় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে থানা মোড়। তারপর ফের শুরু হয় মিছিল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, ৮-বি মোড় ঘুরে মিছিল শেষ হয় সুলেখা মোড়ে। এদিকে এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে বিজেপি নেতা সঞ্জু দাশগুপ্ত বলেন, “সেলিমপুরে জেলা কার্যালয় থেকে মিছিল শুরু হয়েছিল। সমস্ত থানা থেকেই মিছিলের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। যখন মিছিলটি শুরু হয়েছিল তখন পুলিশের তরফে কোনও বাধা দেওয়া হয়নি। কিন্তু, যেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নামে স্লোগান দেওয়া শুরু করি তখনই পথ আটকায় ওরা। যেই চোর ধরো, জেল ভরো বলা আরম্ভ করল তখনই ওদের খারাপ লেগেছে। পুলিশ তৃণমূলের লোকেদের ঢুকিয়ে আমাদের মারধর করে। এমনকী অনেকে মদও খেয়ে এসেছিল। এমনকী যে ভ্যানে করে খাঁচাটা আনা হচ্ছিল সেটিও ভেঙে টুকরো টুকরো করে দেওয়া হয়েছে”।