Bratya Basu: শুধু তৃণমূল নয়, বাম-কংগ্রেস নেতাদেরও সম্পত্তি বেড়েছে! তালিকা দিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন ব্রাত্যদের?

তৃণমূল মনে করে, আয়বৃদ্ধি খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। আয়করে সেই বর্ধিত আয়ের উৎস থাকলেই তা নিয়ে কোনও কথা হওয়া উচিত নয়।

Bratya Basu: শুধু তৃণমূল নয়, বাম-কংগ্রেস নেতাদেরও সম্পত্তি বেড়েছে! তালিকা দিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন ব্রাত্যদের?
সাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্য বসু, ফিরহাদ হাকিম
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 10, 2022 | 4:12 PM

কলকাতা: তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে সোমবার পক্ষ হিসাবে যুক্ত করেছে আদালত। এর পরই বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে আলোচনা হয়েছে বিস্তর। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকায় রাজ্যের শাসকদল যে মোটেই খুশি নয়, তা বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ব্রাত্য বসু, ফিরহাদ হাকিম-সহ অন্যান্য নেতারা। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, আদালতের দেওয়া তালিকায় তৃণমূলের নেতাদের পাশাপাশি বাম, কংগ্রেস নেতাদের নামও রয়েছে। ব্রাত্যের অভিযোগ, সেই সব নাম নিয়ে সংবাদমাধ্যমের একাংশ টুঁ শব্দ করছে না। উল্টে সংবাদমাধ্যমের একাংশ ‘ক্যাঙারু কোর্ট’ বা ‘খাপ পঞ্চায়েত’ বসাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তি নিয়ে। সংবাদমাধ্য়মের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও আদালতের নির্দেশ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।

সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে হাইকোর্টে নির্দেশের কপি উদ্ধৃত করে ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, তৃণমূল নেতা ছাড়া আর কাদের নাম রয়েছে সেখানে। ব্রাত্য জানিয়েছেন আদালতের কপিতে, কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী, সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র, বাম সরকারে মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য, কান্তি গাঙ্গুলির নাম। এ ছাড়াও আবু হেনা, ফণীভূষণ মাহাত, ধীরেন বাগদি, রূপরানি মণ্ডল, মোহিত সেনগুপ্ত, নেপাল মাহাতের নাম রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এদের সকলেই সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়েছে। এই নাম উল্লেখের পর ব্রাত্য বলেছেন, “তৃণমূলের নেতারা ছাড়াও বাম, কংগ্রেস নেতাদের নামও রয়েছে সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায়। কিন্তু আমরা তাদের নাম নিয়ে কোনও মন্তব্য করছি না, কারণ এটা আদালতের পর্যবেক্ষণ। সিপিএম এবং কংগ্রেস নেতারা ২ দিন ধরে টানা খারাপ কথা বলে গেলেন। এবং সমাজে তুলে ধরতে চাইলেন, তৃণমূলের লোক মানেই দুর্নীতিগ্রস্ত। তাই আমরা তালিকা তুলে দেখালাম আদালতের রায়ে অন্য দলের নেতাদের নামও রয়েছে। তাই শুধুমাত্র একটি দলকে ক্যাঙারু কোর্টে তুলে দেওয়া সচেতন সংবাদমাধ্যমের উচিত নয়।” পাশাপাশি গোটা বিষয়টি গণমাধ্যমের তুলে ধরা উচিত বলে মনে করেন তিনি। তাঁদের সঙ্গে বা বিরোধে থাকা সকল সংবাদমাধ্যমকেই একপেশে বক্তব্য তুলে ধরা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেছেন।

তৃণমূল মনে করে, আয়বৃদ্ধি খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। আয়করে সেই বর্ধিত আয়ের উৎস থাকলেই তা নিয়ে কোনও কথা হওয়া উচিত নয়। প্রধানমন্ত্রীর আয়বৃদ্ধির বিষয়টিও এ ব্যাপারে উল্লেখ করেছেন ব্রাত্য বসু। এর পাশাপাশি প্রতিহিংসার রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি। বিজেপিকে এই কাজে জন্য দায়ী করেছেন। তিনি মনে করেন ভোটে হেরে গিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে ঢোকার চেষ্টা কুপ্রভাব সমাজেও পড়ছে। কুৎসার পাল্টা কুৎসা   না করে রাজনৈতিক ভাবে তা মোবালিকা করার কথাও বলেছেন তিনি।