Calcutta High Court: ১৫ বছর আগে বনগাঁয় গ্রেফতার ‘লস্কর জঙ্গি’র মৃত্যুদণ্ড খারিজ হাইকোর্টে

Calcutta High Court: বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের সময়ে বনগাঁ থেকে পাকড়াও করা হয়েছিল তাদের। ভুয়ো পরিচয়পত্র, লাইসেন্স পাওয়া গিয়েছিল তাদের থেকে। শুধু তাই নয়, ধৃতদের থেকে প্রচুর বিস্ফোরকও পাওয়া গিয়েছিল।

Calcutta High Court: ১৫ বছর আগে বনগাঁয় গ্রেফতার 'লস্কর জঙ্গি'র মৃত্যুদণ্ড খারিজ হাইকোর্টে
কলকাতা হাইকোর্ট
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 14, 2022 | 7:39 PM

কলকাতা: বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত লস্কর-ই তৈবার (Laskar-e-Taiba) জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ২০০৭ সালে গ্রেফতার করা হয়েছিল শেখ আব্দুল নঈম সহ মোট চারজনকে। বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের সময়ে বনগাঁ থেকে পাকড়াও করা হয়েছিল তাদের। ভুয়ো পরিচয়পত্র, লাইসেন্স পাওয়া গিয়েছিল তাদের থেকে। শুধু তাই নয়, ধৃতদের থেকে প্রচুর বিস্ফোরকও পাওয়া গিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ওই মামলার তদন্ত শুরু করে সিআইডি। তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি ছিল, নঈম ও তার সঙ্গীরা জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার সদস্য।

দীর্ঘদিন সেই মামলা চলার পর ২০১৮ সালে শেখ আব্দুল নঈমকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল বনগাঁ আদালত। পরবর্তী সময়ে নিম্ন আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সাজাপ্রাপ্ত আসামী নঈম কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। মামলা চলছিল হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে। সোমবার হাইকোর্ট সেই অভিযুক্তর মৃত্যুদণ্ড খারিজ করে দেয়। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি ইতিমধ্যেই প্রায় ১৫ বছর জেলে সাজা কাটিয়ে ফেলেছে। এবার তার মৃত্যদণ্ড খারিজ করল উচ্চ আদালত।

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে উত্তর ২৪ পরগনার বেনাপোল ও পেট্রাপোল সীমান্ত এলাকা থেকে লস্কর জঙ্গি সন্দেহে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরকও পাওয়া গিয়েছিল তার থেকে। সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিলেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। পরবর্তী সময়ে সেই ঘটনার তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের সন্দেহ, গ্রেফতার হওয়া ওই ব্যক্তি ভারতে নাশকতার ছক কষেছিল বলে সন্দেহ তদন্তকারী আধিকারিকদের।

সেই মামলা বনগাঁ আদালতে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে। বনগাঁর অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ওই মামলায় বিচারক ধৃতদের মধ্যে নঈমকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয়। এরপর নিম্ন আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় অভিযুক্ত। সোমবার সেই মামলায় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর মৃত্যুদণ্ড খারিজ করে দেয়।