Jharkhand MLA: ঝাড়খণ্ড বিধায়কদের মামলায় তদন্তের জাল গোটাচ্ছে CID, কেস ডায়েরি তলব হাইকোর্টের

Calcutta High Court: বিধায়কদের জামিন সংক্রান্ত মামলায় কেস ডায়েরি তলব করল হাইকোর্ট। আগামিকাল (বৃহস্পতিবার) কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলার শুনানি রয়েছে।

Jharkhand MLA: ঝাড়খণ্ড বিধায়কদের মামলায় তদন্তের জাল গোটাচ্ছে CID, কেস ডায়েরি তলব হাইকোর্টের
ঝাড়খণ্ড বিধায়কদের মামলায় তদন্তে সিআইডি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 10, 2022 | 8:51 PM

কলকাতা : ঝাড়খণ্ডের বিধায়কদের গাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডি (CID Probe in Jharkhand Case)। এদিকে ওই তিন বিধায়ক জামিনের আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছেন। সেই মামলা এখনও চলছে। এবার বিধায়কদের জামিন সংক্রান্ত মামলায় কেস ডায়েরি তলব করল হাইকোর্ট। আগামিকাল (বৃহস্পতিবার) কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলার শুনানি রয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগেও একবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের বিধায়করা। তাঁদের দাবি ছিল, তদন্তকারী সংস্থা বদলে দেওয়া হোক। সিআইডির বদলে কেন্দ্রের কোনও নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থা যাতে এই ঘটনার তদন্ত করে সেই আবেদন জানিয়েছিলেন বিধায়করা। তবে সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য।

ওই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে কড়া ভাষায় জানিয়েছিল, অভিযুক্তরা কখনও ঠিক করতে পারে না কোনও তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করবে। হাইকোর্টে সেই মামলা খারিজ হওয়ার পরই জামিনের আবেদন জানিয়ে ফের আদালতে গিয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়ক। এবার সেই মামলায় কেস ডায়েরি তলব করল হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়ক, যাঁরা বর্তমানে সিআইডি হেফাজতে রয়েছেন, তাঁদের ঝাড়খণ্ডের বাড়িতে গতকাল রাতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন সিআইডি আধিকারিকরা। ওই অভিযানে জামতাড়ার বিধায়ক ইরফান আনসারির বাড়ি থেকে পাঁচ লাখ উদ্ধার হয়েছে। সঙ্গে একটি গাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে খবর। সিআইডি সূত্রে দাবি, এই বাজেয়াপ্ত করা গাড়িটি ২১ জুলাই কলকাতায় এসেছিল। মহেন্দ্র আগরওয়াল-এর অফিসের সামনে এসেছিল ওই গাড়িটি। সূত্রের খবর, ওই গাড়িটি করে ইরফান আনসারির কাছে ৭৫ লাখ টাকা পৌঁছেছিল। সিআইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ২০ জুলাই ইরফান আনসারি এবং রাজেশ কাশ্যপ গুয়াহাটিতে গিয়েছিলেন। সেখানেই ঘোড়া কেনা-বেচা সংক্রান্ত বিষয়ে ডিল হয় বলে সূত্রের খবর। এরপর ২১ জুলাই এই হাওয়ালা কারবারির মাধ্যমে সেই টাকা ইরফান আনসারির কাছে পৌঁছয় বলে সন্দেহ সিআইডির।